ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

চীনের বাজারে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 127

ছবি সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু আম এবার ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথমবারের মতো চীনের বাজারে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে। এই সম্ভাবনায় খুশির হাওয়া বইছে জেলার আম চাষি, বাগান মালিক ও রফতানিকারকদের মাঝে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আম রফতানিতে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে রফতানি হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিশাল সম্ভাবনাময় চীনের বাজার। সম্প্রতি চীনা আমদানিকারকদের একটি প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন আমবাগান এবং গ্রেডিং, শর্টিং ও শোধন কেন্দ্র ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের আম আমদানিতে আগ্রহী হওয়ার কথা জানান।

এই খবরে আশার আলো দেখছেন জেলার উদ্যোক্তারা। তাদের ভাষ্য, যদি সরাসরি বাগান থেকে আম রফতানি করা যায়, তাহলে আম চাষিরা ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই সরাসরি চীনের বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হলে দেশীয় অর্থনীতিও উপকৃত হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী জানান, আম রফতানিতে যে ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে দূরীকরণের কাজ চলছে। কৃষকদের সহযোগিতা এবং রফতানি বাড়াতে কৃষি বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, আম রফতানিতে কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ উৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীনের বাজারে আম রফতানির এই নতুন সম্ভাবনা শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের বাজারে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার

আপডেট সময় ১১:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু আম এবার ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথমবারের মতো চীনের বাজারে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে। এই সম্ভাবনায় খুশির হাওয়া বইছে জেলার আম চাষি, বাগান মালিক ও রফতানিকারকদের মাঝে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আম রফতানিতে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে রফতানি হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিশাল সম্ভাবনাময় চীনের বাজার। সম্প্রতি চীনা আমদানিকারকদের একটি প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন আমবাগান এবং গ্রেডিং, শর্টিং ও শোধন কেন্দ্র ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের আম আমদানিতে আগ্রহী হওয়ার কথা জানান।

এই খবরে আশার আলো দেখছেন জেলার উদ্যোক্তারা। তাদের ভাষ্য, যদি সরাসরি বাগান থেকে আম রফতানি করা যায়, তাহলে আম চাষিরা ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই সরাসরি চীনের বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হলে দেশীয় অর্থনীতিও উপকৃত হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী জানান, আম রফতানিতে যে ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে দূরীকরণের কাজ চলছে। কৃষকদের সহযোগিতা এবং রফতানি বাড়াতে কৃষি বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, আম রফতানিতে কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আমবাগান থেকে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ উৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীনের বাজারে আম রফতানির এই নতুন সম্ভাবনা শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।