ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি

শুল্কের দাপটে চড়া হতে পারে আইফোনের বাজার, দাম ছাড়াতে পারে সাড়ে ৩ হাজার ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

চীনের ওপর মার্কিন সরকারের শুল্ক নীতির ফলে আইফোনের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিএনএনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে একটি আইফোনের দাম ৩,৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যেখানে বর্তমানে সেটি কিনতে হয় মাত্র ১,০০০ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের উৎপাদনশীলতা ঘরে ফেরাতে চীনসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই উদ্যোগে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ইলেকট্রনিক পণ্যের দামে, বিশেষত আইফোনের মতো জনপ্রিয় ডিভাইসে।

বিশ্ববাজারে অ্যাপল যে মূল্য-সুবিধা পায়, তার পেছনে রয়েছে চীনের উৎপাদন খরচের তুলনামূলক স্বল্পতা। বর্তমানে অ্যাপলের অধিকাংশ আইফোন তৈরি হয় চীনের ফ্যাক্টরিতে, যেখানে শ্রম ও উৎপাদন ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। যদি অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনে বাধ্য হয়, তবে শুধু কারখানা গড়তেই খরচ পড়বে বিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি শ্রম খরচ, যন্ত্রাংশ আমদানি এবং সরবরাহ চেইন গঠনের ব্যয় মিলিয়ে একটি ফোনের দাম কয়েক গুণ বাড়তে বাধ্য।

সিএনএন জানায়, আইফোনের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করতেও অ্যাপলকে সময় দিতে হবে অন্তত তিন বছর এবং বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার।

এশিয়ার উপর নির্ভরশীল অ্যাপলের উৎপাদন কাঠামো দীর্ঘদিন ধরেই চীনকেন্দ্রিক। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিসপ্লে, তাইওয়ান থেকে চিপ এনে চীনের কারখানায় ফোন সংযোজন করা হয়, যেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বাজারে।
এই সাশ্রয়ী ও কার্যকর সরবরাহ চেইন অ্যাপলের মুনাফার মূল চাবিকাঠি হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির ফলে কোম্পানিটি এখন চাপে।

শেয়ারবাজারেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। শুল্ক ঘোষণার পর অ্যাপলের শেয়ারের মূল্য হঠাৎই কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অ্যাপল এখন চীনের বিকল্প হিসেবে ভারত ও ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকছে। যদিও এসব দেশে শুল্ক তুলনামূলক কম, তবুও সেখানে উৎপাদন খরচ বাড়ায় আইফোনের দাম কমবে না বলেই ধারণা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক ও উৎপাদন ব্যয়ের চাপে আইফোনের ভবিষ্যৎ দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দেবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

শুল্কের দাপটে চড়া হতে পারে আইফোনের বাজার, দাম ছাড়াতে পারে সাড়ে ৩ হাজার ডলার

আপডেট সময় ০১:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

চীনের ওপর মার্কিন সরকারের শুল্ক নীতির ফলে আইফোনের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিএনএনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে একটি আইফোনের দাম ৩,৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যেখানে বর্তমানে সেটি কিনতে হয় মাত্র ১,০০০ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের উৎপাদনশীলতা ঘরে ফেরাতে চীনসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই উদ্যোগে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ইলেকট্রনিক পণ্যের দামে, বিশেষত আইফোনের মতো জনপ্রিয় ডিভাইসে।

বিশ্ববাজারে অ্যাপল যে মূল্য-সুবিধা পায়, তার পেছনে রয়েছে চীনের উৎপাদন খরচের তুলনামূলক স্বল্পতা। বর্তমানে অ্যাপলের অধিকাংশ আইফোন তৈরি হয় চীনের ফ্যাক্টরিতে, যেখানে শ্রম ও উৎপাদন ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। যদি অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনে বাধ্য হয়, তবে শুধু কারখানা গড়তেই খরচ পড়বে বিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি শ্রম খরচ, যন্ত্রাংশ আমদানি এবং সরবরাহ চেইন গঠনের ব্যয় মিলিয়ে একটি ফোনের দাম কয়েক গুণ বাড়তে বাধ্য।

সিএনএন জানায়, আইফোনের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করতেও অ্যাপলকে সময় দিতে হবে অন্তত তিন বছর এবং বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার।

এশিয়ার উপর নির্ভরশীল অ্যাপলের উৎপাদন কাঠামো দীর্ঘদিন ধরেই চীনকেন্দ্রিক। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিসপ্লে, তাইওয়ান থেকে চিপ এনে চীনের কারখানায় ফোন সংযোজন করা হয়, যেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বাজারে।
এই সাশ্রয়ী ও কার্যকর সরবরাহ চেইন অ্যাপলের মুনাফার মূল চাবিকাঠি হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির ফলে কোম্পানিটি এখন চাপে।

শেয়ারবাজারেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। শুল্ক ঘোষণার পর অ্যাপলের শেয়ারের মূল্য হঠাৎই কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অ্যাপল এখন চীনের বিকল্প হিসেবে ভারত ও ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকছে। যদিও এসব দেশে শুল্ক তুলনামূলক কম, তবুও সেখানে উৎপাদন খরচ বাড়ায় আইফোনের দাম কমবে না বলেই ধারণা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক ও উৎপাদন ব্যয়ের চাপে আইফোনের ভবিষ্যৎ দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দেবে।