০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

শান্তির পথে বাংলাদেশ: বিনিয়োগে সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে: চরমোনাই পীর 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 69

 

বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, ধর্মভিত্তিক মূল্যবোধে গঠিত দেশ এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, “এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। সততা, দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতার পাঠ আমরা পেয়েছি ধর্ম থেকেই।”

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক নিয়মিত বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আগের চেয়ে অনেক উন্নত, যা দেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উপহার দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই। ইসলাম সৎ ব্যবসাকে উৎসাহিত করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। একজন আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন এই শিক্ষা থেকেই আমরা ব্যবসা ও বিনিয়োগকে সম্মান করি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আজ একটি সংস্কারধারায় প্রবেশ করেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা একটি উন্নত, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছি। স্বৈরতন্ত্রের আর কোনো ঠাঁই এই ভূখণ্ডে নেই এবং জাতি হিসেবে আমরা সে প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে ধারণ করি।”

চরমোনাই পীর বলেন, “ইসলামপন্থীরা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে। ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার নয়, বরং নৈতিকতা ও কল্যাণের পথ হিসেবে দেখছে। বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা দিয়ে বাংলাদেশকে বিচার করলে ভুল হবে। আমাদের দেখে যাবে একটি প্রগতিশীল, শান্তিপ্রিয়, কর্মঠ জনগণের দেশ হিসেবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের এমন ইতিবাচক বার্তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার সঞ্চার করবে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও দৃঢ় ভিত্তি দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তির পথে বাংলাদেশ: বিনিয়োগে সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে: চরমোনাই পীর 

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, ধর্মভিত্তিক মূল্যবোধে গঠিত দেশ এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, “এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। সততা, দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতার পাঠ আমরা পেয়েছি ধর্ম থেকেই।”

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক নিয়মিত বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আগের চেয়ে অনেক উন্নত, যা দেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উপহার দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই। ইসলাম সৎ ব্যবসাকে উৎসাহিত করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। একজন আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন এই শিক্ষা থেকেই আমরা ব্যবসা ও বিনিয়োগকে সম্মান করি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আজ একটি সংস্কারধারায় প্রবেশ করেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা একটি উন্নত, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছি। স্বৈরতন্ত্রের আর কোনো ঠাঁই এই ভূখণ্ডে নেই এবং জাতি হিসেবে আমরা সে প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে ধারণ করি।”

চরমোনাই পীর বলেন, “ইসলামপন্থীরা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে। ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার নয়, বরং নৈতিকতা ও কল্যাণের পথ হিসেবে দেখছে। বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা দিয়ে বাংলাদেশকে বিচার করলে ভুল হবে। আমাদের দেখে যাবে একটি প্রগতিশীল, শান্তিপ্রিয়, কর্মঠ জনগণের দেশ হিসেবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের এমন ইতিবাচক বার্তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার সঞ্চার করবে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও দৃঢ় ভিত্তি দেবে।