ঈদের আগেই রেমিট্যান্সের রেকর্ড, প্রবাসীরা পাঠালেন ৩২৯ কোটি ডলার – রেমিটেন্সে নতুন মাইলফলক

- আপডেট সময় ০৮:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 26
গত রমজানে প্রবাসী আয়ের ধারা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা এক মাসের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়ার পেছনে অর্থ পাচার কমে আসা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ি ভূমিকা বড় ভূমিকা রেখেছে। ফলে হুন্ডি পথ ছেড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাতে আগ্রহী হয়েছেন প্রবাসীরা।
ঈদকে সামনে রেখে সাধারণত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও এবার সেই প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মার্চের প্রথম ২৪ দিনেই এসেছিল ২৭০ কোটি ডলার, মাস শেষে যা দাঁড়ায় ৩২৯ কোটিতে। আগের বছরের মার্চে এসেছিল মাত্র ১৯৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৪ শতাংশ।
ডলারের এই প্রবাহ শুধু প্রবাসীদের পাঠানো টাকাই নয়, বরং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম ভরসা। কারণ, এই টাকার বিপরীতে বিদেশে কোনো দায় মেটাতে হয় না। রপ্তানি বা ঋণের টাকায় যেমন পণ্য আমদানি কিংবা সুদ পরিশোধ করতে হয়, রেমিট্যান্সে সে দায় নেই।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বাড়ার ফলে ডলারের সংকট অনেকটা কমে এসেছে। এখন প্রবাসীদের কাছ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এতে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে এবং আমদানি ব্যয় মেটানোও সহজ হচ্ছে।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর টানা সাত মাস ধরে প্রতি মাসেই প্রবাসীরা ২০০ কোটির বেশি ডলার পাঠাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতেও রেমিট্যান্স ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসেই (জুলাই-মার্চ) প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৭৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ১ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ, যা দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির হাওয়া বইয়ে দিয়েছে।