ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। বৃহস্পতিবার সকালে দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমান্তের গভীর জঙ্গলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাওবাদী বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই বস্তার রেঞ্জের পুলিশ সদস্যরা বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। হঠাৎই বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষ বাধে।

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি জানান, সংঘর্ষে বিজাপুর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) এক সদস্য নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিকে, একই রাতে নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকায় মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের ধুলোর ঝাপটায় দুইজন সেনা সদস্য সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা এখন নিরাপদে রয়েছেন।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫ জন মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বস্তার এলাকায়।

দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের তৎপরতা চলছে। সরকার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিগুলো চিহ্নিত করে অভিযান জোরদার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১৯

আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। বৃহস্পতিবার সকালে দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমান্তের গভীর জঙ্গলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাওবাদী বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই বস্তার রেঞ্জের পুলিশ সদস্যরা বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। হঠাৎই বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষ বাধে।

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি জানান, সংঘর্ষে বিজাপুর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) এক সদস্য নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিকে, একই রাতে নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকায় মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের ধুলোর ঝাপটায় দুইজন সেনা সদস্য সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা এখন নিরাপদে রয়েছেন।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫ জন মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বস্তার এলাকায়।

দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের তৎপরতা চলছে। সরকার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিগুলো চিহ্নিত করে অভিযান জোরদার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।