০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 79

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। বৃহস্পতিবার সকালে দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমান্তের গভীর জঙ্গলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাওবাদী বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই বস্তার রেঞ্জের পুলিশ সদস্যরা বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। হঠাৎই বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষ বাধে।

বিজ্ঞাপন

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি জানান, সংঘর্ষে বিজাপুর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) এক সদস্য নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিকে, একই রাতে নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকায় মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের ধুলোর ঝাপটায় দুইজন সেনা সদস্য সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা এখন নিরাপদে রয়েছেন।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫ জন মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বস্তার এলাকায়।

দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের তৎপরতা চলছে। সরকার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিগুলো চিহ্নিত করে অভিযান জোরদার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১৯

আপডেট সময় ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। বৃহস্পতিবার সকালে দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমান্তের গভীর জঙ্গলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাওবাদী বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই বস্তার রেঞ্জের পুলিশ সদস্যরা বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। হঠাৎই বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষ বাধে।

বিজ্ঞাপন

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি জানান, সংঘর্ষে বিজাপুর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) এক সদস্য নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিকে, একই রাতে নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকায় মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের ধুলোর ঝাপটায় দুইজন সেনা সদস্য সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা এখন নিরাপদে রয়েছেন।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫ জন মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বস্তার এলাকায়।

দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের তৎপরতা চলছে। সরকার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিগুলো চিহ্নিত করে অভিযান জোরদার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।