শেখ হাসিনার দলের ভবিষ্যৎ
আইনি বাধা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাদ পড়তে পারে ভোটার তালিকা থেকে
- আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 120
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এই বিচার রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আইসিটির রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তরা আজীবনের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য হবেন, এমনকি ভোটার তালিকা থেকেও তাঁদের নাম বাদ পড়তে পারে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি মামলার রায় অক্টোবরের মধ্যেই ঘোষণা করা হতে পারে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অভিযুক্ত রয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আইসিটি-তে অভিযোগ গৃহীত হওয়ার মুহূর্ত থেকেই অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার পক্ষে মত দিয়েছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশও করা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট মহল এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। পাশাপাশি, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি আরও জোরালো করেছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশও একই দাবি জানিয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই আসতে পারে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মতে, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটেছে, যা জাতির জন্য গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।
কমিশন মনে করে, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের সংসদ নির্বাচনের বাইরে রাখা আবশ্যক। যদিও প্রচলিত আইনে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ দোষী সাব্যস্ত হন না, তবুও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র সুরক্ষার স্বার্থে আইন সংশোধনের মাধ্যমে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।























