ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ
আবরার হত্যা

আবরার হত্যা মামলায় বহাল রইল ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন: হাইকোর্টের রায় 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। অবশেষে, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ চূড়ান্ত রায় দিলেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ রায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছায়। ফৌজদারি আইনে, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিলের সুযোগ পান। এই মামলাতেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি দণ্ডিত আসামিদের জেল আপিল হাইকোর্টে গৃহীত হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ২৮ নভেম্বর পেপারবুক উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি শুরু করে। ১০ ফেব্রুয়ারি পুনরায় শুনানি শুরু হয়, যা এক দিন ছাড়া প্রতিদিনই চলতে থাকে। সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

আজকের রায়ের মাধ্যমে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড বহাল থাকলো, যা আইনি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবরার হত্যা

আবরার হত্যা মামলায় বহাল রইল ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন: হাইকোর্টের রায় 

আপডেট সময় ০২:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। অবশেষে, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ চূড়ান্ত রায় দিলেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ রায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছায়। ফৌজদারি আইনে, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিলের সুযোগ পান। এই মামলাতেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি দণ্ডিত আসামিদের জেল আপিল হাইকোর্টে গৃহীত হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ২৮ নভেম্বর পেপারবুক উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি শুরু করে। ১০ ফেব্রুয়ারি পুনরায় শুনানি শুরু হয়, যা এক দিন ছাড়া প্রতিদিনই চলতে থাকে। সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

আজকের রায়ের মাধ্যমে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড বহাল থাকলো, যা আইনি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।