ফরিদপুরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য আটক

- আপডেট সময় ০৪:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / 5
ফরিদপুরের মধুখালীতে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রোববার (১৩ জুলাই) গভীর রাত থেকে সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার ডুমাইন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ডুমাইন গ্রামের কামরুল মিয়া (৪০) ও তার চার সহযোগী—অমরেশ বিশ্বাস (৩০), সোহান মালিক (২৪), হাফিজুর রহমান (৪২) এবং শেখ শাকিল আহমেদ (২৬)।
সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ফরিদপুর সেনা ক্যাম্পে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বিকাশ ও নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ভুয়া কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা যাচাইয়ের নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং তদন্তে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের একটি বড় অংশ অনলাইনে সক্রিয় শতাধিক জুয়া ও বেটিং সাইটে ঢুকিয়ে বিদেশে পাচার করা হতো। চক্রটি বিশেষ সফটওয়্যার ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ‘শতভাগ জয়’ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জুয়ার অর্থ সংগ্রহ করত। এরপর ওই অর্থ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হতো।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনী ডুমাইন গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা কামরুলসহ পাঁচজনকে আটক করে। অভিযানে ১০৬ পিস ইয়াবা, ৪২টি গ্রামীণফোন সিমকার্ড ও ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসীত দাস জানান, এই চক্রটি কেবল ফরিদপুরেই সীমাবদ্ধ ছিল না—রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে তাদের অপতৎপরতা বিস্তৃত ছিল। এটি দেশের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঘিরে গড়ে ওঠা একটি সুসংগঠিত ডিজিটাল প্রতারণা চক্র।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, সাইবার অপরাধ দমন আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।