ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজ শনিবার বৈঠকে বসছে এনসিপি ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৮০ নিহত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ জন বাংলাদেশের সামনে দারুণ সুযোগ: বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার লড়াই বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা: হাঙ্গেরির কাছে ব্যাখ্যা চাইল আইসিসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার না করায় হাঙ্গেরির কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। হেগে অবস্থিত আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে’র মধ্যে বুদাপেস্টকে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল ও মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে গাজা পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এরপর চলতি বছরের ৩ থেকে ৬ এপ্রিল তিনি হাঙ্গেরি সফর করেন। সফরকালেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। অথচ হাঙ্গেরি রোম সংবিধির স্বাক্ষরকারী দেশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানা বাস্তবায়নে তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আইসিসির মতে, ৩ এপ্রিল নেতানিয়াহু হাঙ্গেরিতে অবতরণের দিনেই আদালত বুদাপেস্টে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠায়, যাতে তাকে গ্রেপ্তার করে হেগে প্রেরণের কথা বলা হয়। কিন্তু হাঙ্গেরি সে অনুরোধ উপেক্ষা করে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কূটনৈতিক সাক্ষাৎ করে, যা আদালতের ভাষায় ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল’।

আদালত আরও বলেছে, হাঙ্গেরি যদি আইসিসির সদস্য হিসেবে থাকত, তাহলে তারা এই পরোয়ানা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকত। কিন্তু নেতানিয়াহুর আগমনের আগেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইঙ্গিত দেন যে, তার দেশ আইসিসি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাঙ্গেরির এই পদক্ষেপ শুধু আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি অসম্মানই নয়, বরং যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার জন্যও হুমকি। আইসিসি এখন হাঙ্গেরির কাছ থেকে জানতে চায়, তারা কেন আদালতের নির্দেশ পালন করেনি এবং কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বাস্তবায়ন থেকে বিরত থেকেছে।

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং আইসিসি-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, হাঙ্গেরি আদালতের দাবি অনুযায়ী ২৩ মে’র মধ্যে কী ধরনের ব্যাখ্যা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা: হাঙ্গেরির কাছে ব্যাখ্যা চাইল আইসিসি

আপডেট সময় ০২:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার না করায় হাঙ্গেরির কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। হেগে অবস্থিত আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে’র মধ্যে বুদাপেস্টকে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল ও মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে গাজা পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এরপর চলতি বছরের ৩ থেকে ৬ এপ্রিল তিনি হাঙ্গেরি সফর করেন। সফরকালেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। অথচ হাঙ্গেরি রোম সংবিধির স্বাক্ষরকারী দেশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানা বাস্তবায়নে তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আইসিসির মতে, ৩ এপ্রিল নেতানিয়াহু হাঙ্গেরিতে অবতরণের দিনেই আদালত বুদাপেস্টে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠায়, যাতে তাকে গ্রেপ্তার করে হেগে প্রেরণের কথা বলা হয়। কিন্তু হাঙ্গেরি সে অনুরোধ উপেক্ষা করে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কূটনৈতিক সাক্ষাৎ করে, যা আদালতের ভাষায় ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল’।

আদালত আরও বলেছে, হাঙ্গেরি যদি আইসিসির সদস্য হিসেবে থাকত, তাহলে তারা এই পরোয়ানা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকত। কিন্তু নেতানিয়াহুর আগমনের আগেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইঙ্গিত দেন যে, তার দেশ আইসিসি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাঙ্গেরির এই পদক্ষেপ শুধু আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি অসম্মানই নয়, বরং যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার জন্যও হুমকি। আইসিসি এখন হাঙ্গেরির কাছ থেকে জানতে চায়, তারা কেন আদালতের নির্দেশ পালন করেনি এবং কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বাস্তবায়ন থেকে বিরত থেকেছে।

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং আইসিসি-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, হাঙ্গেরি আদালতের দাবি অনুযায়ী ২৩ মে’র মধ্যে কী ধরনের ব্যাখ্যা দেয়।