ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

লাকসামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

কুমিল্লার লাকসামে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে তাদেকই গ্রামের মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. সুজন মিয়া এবং উত্তর সাতবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে হুমায়ুন ফরিদ।

জানা গেছে, দেশব্যাপী পরিচালিত যৌথ বাহিনীর ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের অংশ হিসেবে লাকসামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার রাতের বিশেষ অভিযানে কাদরা এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০র আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লাকসাম পৌরসভার সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. খোরশেদ আলম, গুনতি গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন অন্তর, কাদ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মো. সাফায়ত উল্লাহ, এ গ্রাম গাঁজা, দুটি চাপাতি, একটি ছেনি (ধারালো অস্ত্র), একটি কাঁচি, একটি নোটবুক, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়েছে।

লাকসাম থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় পূর্ববর্তী কোনো মামলা না থাকলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, যৌথ বাহিনীর এমন কঠোর পদক্ষেপে এলাকার সন্ত্রাস ও মাদক চক্র ধ্বংস হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করতে হবে, যাতে মাদক ও অপরাধের শেকড় সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলা যায়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মেজর তাহসিন ফয়সাল জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে লাকসামসহ সারাদেশে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

লাকসামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ০৪:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

কুমিল্লার লাকসামে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে তাদেকই গ্রামের মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. সুজন মিয়া এবং উত্তর সাতবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে হুমায়ুন ফরিদ।

জানা গেছে, দেশব্যাপী পরিচালিত যৌথ বাহিনীর ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের অংশ হিসেবে লাকসামে এ অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার রাতের বিশেষ অভিযানে কাদরা এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০র আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লাকসাম পৌরসভার সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. খোরশেদ আলম, গুনতি গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন অন্তর, কাদ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মো. সাফায়ত উল্লাহ, এ গ্রাম গাঁজা, দুটি চাপাতি, একটি ছেনি (ধারালো অস্ত্র), একটি কাঁচি, একটি নোটবুক, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়েছে।

লাকসাম থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় পূর্ববর্তী কোনো মামলা না থাকলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, যৌথ বাহিনীর এমন কঠোর পদক্ষেপে এলাকার সন্ত্রাস ও মাদক চক্র ধ্বংস হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করতে হবে, যাতে মাদক ও অপরাধের শেকড় সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলা যায়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মেজর তাহসিন ফয়সাল জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে লাকসামসহ সারাদেশে মাদক ও অপরাধ নির্মূলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।