ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চীন থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানির রাসায়নিক পরিবহন করবে কার্গো জাহাজ মিয়ানমারে সংঘর্ষ ও বিমান হামলায় প্রাণহানি বৃদ্ধি: জাতিসংঘের উদ্বেগ বিপিএলে উড়ন্ত চলতে থাকা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর ২৪ রানের জয় আমরা বলতে চাই কথা, খবরের কথা ছাত্র জনতার উপর হামলার নেতৃত্বদানকারী মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার মহাসড়কে স্লিপার বাস চলাচলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে রিট খরচ কমাতে CNN শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই বিক্রির চক্রের ২ সদস্য আটক   রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হবে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এর সংশোধনী আনা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিম্ন অবস্থানে রাখা হয়েছে দাবি করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সংগঠন।

২০১০ সালে হাইকোর্ট রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আটটি নির্দেশনা দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। শুনানি শেষে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো কিছুটা সংশোধন করে তিনটি নির্দেশনা প্রদান করে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়—

১) সাংবিধানিক পদধারীরা প্রিসিডেন্সে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।

২) জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সচিবদের সাথে ১৬ নম্বরে থাকবেন।

৩) অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও রিভিউ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এর সংশোধনী আনা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিম্ন অবস্থানে রাখা হয়েছে দাবি করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সংগঠন।

২০১০ সালে হাইকোর্ট রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আটটি নির্দেশনা দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। শুনানি শেষে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো কিছুটা সংশোধন করে তিনটি নির্দেশনা প্রদান করে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়—

১) সাংবিধানিক পদধারীরা প্রিসিডেন্সে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।

২) জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সচিবদের সাথে ১৬ নম্বরে থাকবেন।

৩) অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন ১৭ নম্বরে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও রিভিউ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন।