১০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

প্রফেসর আবুল বারকাতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / 73

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার বিকেলে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ তার জামিন নামঞ্জুর করেন। সকালে যখন প্রফেসর বারকাতকে আদালতে তোলা হয় তখন তাকে খুব চিন্তিত দেখা যায়।

তার আইনজীবী মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে ঋণ আবেদন করে এননটেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সুপ্রভা স্পিনিং মিলস। পরে তাদের আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইন মেনে সুপ্রভা স্পিনিং মিলসকে ঋণ মঞ্জুর করা হয়। এর আগে একই বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করে কোনো দুর্নীতি হয়নি মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেয়। এখন একই বিষয়ে নতুন করে মামলা করার বিষয়টি দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই না। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ওনার কর্মচারীরা কোনো অপরাধ বা অনিয়ম করলে তার দায়িত্ব তাকেই (বারকাত) নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এননটেক্স গ্রুপের নামে দুইশত সাতানবাই কোটি আটত্রিশ লক্ষ সাতাশি হাজার দুইশত ছিয়ানব্বই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের নামে মামলা করে দুদক। প্রফেসর আবুল বারকাত কুষ্টিয়া শহরের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা ডাক্তার আবুল কাশেম গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ভাই ভাতিজারা সকলেই চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত। প্রফেসর আবুল বারকাত মাধ্যমিকের পর রাশিয়া যান পড়ালেখা করতে। সেখান থেকে তিনি অর্থনীতিতে অনার্স মাষ্টার্স এবং পিএইডি ডিগ্রী লাভ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রফেসর আবুল বারকাতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০৪:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার বিকেলে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ তার জামিন নামঞ্জুর করেন। সকালে যখন প্রফেসর বারকাতকে আদালতে তোলা হয় তখন তাকে খুব চিন্তিত দেখা যায়।

তার আইনজীবী মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে ঋণ আবেদন করে এননটেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সুপ্রভা স্পিনিং মিলস। পরে তাদের আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইন মেনে সুপ্রভা স্পিনিং মিলসকে ঋণ মঞ্জুর করা হয়। এর আগে একই বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করে কোনো দুর্নীতি হয়নি মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেয়। এখন একই বিষয়ে নতুন করে মামলা করার বিষয়টি দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই না। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ওনার কর্মচারীরা কোনো অপরাধ বা অনিয়ম করলে তার দায়িত্ব তাকেই (বারকাত) নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এননটেক্স গ্রুপের নামে দুইশত সাতানবাই কোটি আটত্রিশ লক্ষ সাতাশি হাজার দুইশত ছিয়ানব্বই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের নামে মামলা করে দুদক। প্রফেসর আবুল বারকাত কুষ্টিয়া শহরের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা ডাক্তার আবুল কাশেম গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ভাই ভাতিজারা সকলেই চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত। প্রফেসর আবুল বারকাত মাধ্যমিকের পর রাশিয়া যান পড়ালেখা করতে। সেখান থেকে তিনি অর্থনীতিতে অনার্স মাষ্টার্স এবং পিএইডি ডিগ্রী লাভ করেন।