ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব: পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি চেয়ে রিট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ছয়টি অধ্যায় ইসলামি শরীয়ত, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) সকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রওশন আলী এ রিটটি দায়ের করেন। রিটটি বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য সোমবার (৫ মে) তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

রিটে বলা হয়, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর অধ্যায়ের সুপারিশসমূহ সরাসরি ইসলামী শরীয়ত, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এবং সংবিধানের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এজন্য বিতর্কিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকা এবং বিষয়টি পুনঃপর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

আইনজীবী রওশন আলী বলেন, “৩১৮ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টটি সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার পর নানা মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রিপোর্টের অনেক প্রস্তাবনা ইসলামী মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিধান ও সংবিধানের মূলচেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

তিনি আরও বলেন, “অধ্যায় ১১-তে নারী ও পুরুষের সমান উত্তরাধিকার দাবি করা হয়েছে, যা কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর স্পষ্ট নির্দেশনার পরিপন্থি। একইভাবে বহুবিবাহ নিষিদ্ধের প্রস্তাব শরীয়ত এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রতিফলিত ধর্মচর্চার অধিকার লঙ্ঘন করে।”

রিপোর্টে ‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধ সমর্থন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা শরীয়তের নৈতিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব, এবং ট্রান্সজেন্ডার ও লিঙ্গ পরিচিতি সংক্রান্ত ভাষা শরীয়ত ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয় রিটে।

রিটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই এ রিটের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব: পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি চেয়ে রিট

আপডেট সময় ১১:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ছয়টি অধ্যায় ইসলামি শরীয়ত, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) সকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রওশন আলী এ রিটটি দায়ের করেন। রিটটি বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য সোমবার (৫ মে) তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

রিটে বলা হয়, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর অধ্যায়ের সুপারিশসমূহ সরাসরি ইসলামী শরীয়ত, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এবং সংবিধানের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এজন্য বিতর্কিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকা এবং বিষয়টি পুনঃপর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

আইনজীবী রওশন আলী বলেন, “৩১৮ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টটি সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার পর নানা মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রিপোর্টের অনেক প্রস্তাবনা ইসলামী মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিধান ও সংবিধানের মূলচেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

তিনি আরও বলেন, “অধ্যায় ১১-তে নারী ও পুরুষের সমান উত্তরাধিকার দাবি করা হয়েছে, যা কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর স্পষ্ট নির্দেশনার পরিপন্থি। একইভাবে বহুবিবাহ নিষিদ্ধের প্রস্তাব শরীয়ত এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রতিফলিত ধর্মচর্চার অধিকার লঙ্ঘন করে।”

রিপোর্টে ‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধ সমর্থন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা শরীয়তের নৈতিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব, এবং ট্রান্সজেন্ডার ও লিঙ্গ পরিচিতি সংক্রান্ত ভাষা শরীয়ত ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয় রিটে।

রিটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই এ রিটের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।