সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

- আপডেট সময় ১২:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 22
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি শুরু হয়।
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক উপস্থাপনার মাধ্যমে শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি পেপারবুক থেকে মামলার বিবরণ তুলে ধরেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাইকোর্টের কার্যতালিকায় দেখা যায়, আজ বুধবার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলগুলো শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই হত্যা মামলার রায় দেন। ওই রায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে মামলার বাকি ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব এবং বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়াকে ডেথ রেফারেন্স বলা হয়। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্তরা তাদের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের সুযোগ পান। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিল একসঙ্গে শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে।
সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর মামলার যাবতীয় নথি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। একই সময় আসামিরাও তাদের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
ডেথ রেফারেন্স শুনানির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়, যা আজ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এই মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের বর্তমান বেঞ্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং পরে তদন্ত শেষে পুলিশ কর্মকর্তা ওসি প্রদীপসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।