ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

কুয়েটে দুই বৈঠকের অপেক্ষায় ক্লাস শুরু অনিশ্চিত, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) রোববার (৪ মে) থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলেও শিক্ষকরা এখনও শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

এই সংকট নিরসনে সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। কুয়েট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ও রেজিস্টার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঞা জানান, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মতামত শুনে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, শিক্ষক সমিতি একই দিন বেলা ১১টায় সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, “সভার মূল লক্ষ্য হবে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতে, এই দুইটি বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে ক্লাস কবে শুরু হবে সে বিষয়ে।

জানা গেছে, চলমান উত্তেজনার সূত্রপাত ১৮ ফেব্রুয়ারির একটি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। ওইদিন দুপুরে সংঘর্ষে কুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর শিক্ষার্থীরা বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় ২৪ ঘণ্টা। এ সময় তাকে এবং কয়েকজন শিক্ষককে মারধর, লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। আন্দোলনের সময়ও কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষক সমাজের প্রতি কটূক্তি করেন। এতে শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, “আমরা আগেই শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আবারও সরাসরি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। শিক্ষকদের প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই।”

শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং ক্লাস শুরুর একটি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত আসবে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার সংকট নিরসন না হলে অচলাবস্থার অবসান কতটা দ্রুত হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েটে দুই বৈঠকের অপেক্ষায় ক্লাস শুরু অনিশ্চিত, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) রোববার (৪ মে) থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলেও শিক্ষকরা এখনও শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

এই সংকট নিরসনে সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। কুয়েট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ও রেজিস্টার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঞা জানান, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মতামত শুনে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, শিক্ষক সমিতি একই দিন বেলা ১১টায় সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, “সভার মূল লক্ষ্য হবে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতে, এই দুইটি বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে ক্লাস কবে শুরু হবে সে বিষয়ে।

জানা গেছে, চলমান উত্তেজনার সূত্রপাত ১৮ ফেব্রুয়ারির একটি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। ওইদিন দুপুরে সংঘর্ষে কুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর শিক্ষার্থীরা বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় ২৪ ঘণ্টা। এ সময় তাকে এবং কয়েকজন শিক্ষককে মারধর, লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। আন্দোলনের সময়ও কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষক সমাজের প্রতি কটূক্তি করেন। এতে শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, “আমরা আগেই শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আবারও সরাসরি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। শিক্ষকদের প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই।”

শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং ক্লাস শুরুর একটি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত আসবে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার সংকট নিরসন না হলে অচলাবস্থার অবসান কতটা দ্রুত হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।