০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইরাক–তুরস্ক সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০ অবিশ্বাস্য উড়ন্ত গাড়ি আনছে টেসলা, জানালেন ইলন মাস্ক এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস দেখেই হার্ট অ্যাটাকে রিয়াল সমর্থকের মৃত্যু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত

গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / 78

ছবি সংগৃহীত

 

গণভোট সংক্রান্ত রাজনৈতিক মতভেদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

আইন উপদেষ্টা বলেন, গণভোট সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা কোনো আল্টিমেটাম দেইনি, আহ্বান জানিয়েছি। আমরা অপেক্ষা করব, এরপর সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, সরকার আর কোনো আলোচনার আয়োজন করবে না। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, একসঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আশা করি তারা স্ব-উদ্যোগে আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো উদ্যোগ নেবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মতৈক্যে পৌঁছানোর জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমার্ধে নির্বাচনের আয়োজন বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণভোটের সময়সূচি ও বিষয়বস্তু নির্ধারণের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কোনো সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। তাই দলগুলোকে স্ব-উদ্যোগে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি তারা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়, সরকার তার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

আপডেট সময় ০৫:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

 

গণভোট সংক্রান্ত রাজনৈতিক মতভেদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

আইন উপদেষ্টা বলেন, গণভোট সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা কোনো আল্টিমেটাম দেইনি, আহ্বান জানিয়েছি। আমরা অপেক্ষা করব, এরপর সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, সরকার আর কোনো আলোচনার আয়োজন করবে না। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, একসঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আশা করি তারা স্ব-উদ্যোগে আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো উদ্যোগ নেবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মতৈক্যে পৌঁছানোর জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমার্ধে নির্বাচনের আয়োজন বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণভোটের সময়সূচি ও বিষয়বস্তু নির্ধারণের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কোনো সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। তাই দলগুলোকে স্ব-উদ্যোগে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি তারা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়, সরকার তার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।