০৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

মোহাম্মদপুরে আল-আমিন হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 138

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)–কে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাধীন বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (১৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু।

বিজ্ঞাপন

র‍্যাব জানায়, নিহত আল-আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি শেরেবাংলা নগর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে গ্রেফতারে সহায়তা করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মোশারফ, রিপন ও তাদের কিশোর গ্যাং পরিকল্পিতভাবে আল-আমিনকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঘটনার দিন ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আল-আমিন। ঠিক সেই সময় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায় আসামিরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে ফেলে ও ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নেয়। আশপাশের মানুষ ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আল-আমিনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

র‍্যাবের তথ্যমতে, এক নম্বর আসামি মোশারফ পেশায় রিকশাচালক হলেও মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। এর আগেও তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন, কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার অপরাধে ফিরে যান।

অন্যদিকে, রিপন ওরফে গিট্টু রিপন পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও অপরাধচক্রে মোশারফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাস নির্মূলে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোহাম্মদপুরে আল-আমিন হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)–কে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাধীন বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (১৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু।

বিজ্ঞাপন

র‍্যাব জানায়, নিহত আল-আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি শেরেবাংলা নগর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে গ্রেফতারে সহায়তা করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মোশারফ, রিপন ও তাদের কিশোর গ্যাং পরিকল্পিতভাবে আল-আমিনকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঘটনার দিন ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আল-আমিন। ঠিক সেই সময় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায় আসামিরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে ফেলে ও ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নেয়। আশপাশের মানুষ ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আল-আমিনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

র‍্যাবের তথ্যমতে, এক নম্বর আসামি মোশারফ পেশায় রিকশাচালক হলেও মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। এর আগেও তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন, কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার অপরাধে ফিরে যান।

অন্যদিকে, রিপন ওরফে গিট্টু রিপন পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও অপরাধচক্রে মোশারফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাস নির্মূলে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।