০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বাগেরহাটে মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, কোটি টাকার কাঁচামাল লুট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে হ্যামকো গ্রুপের আওতাধীন এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মুখোশধারী ১৫–২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানায় হানা দেয়।

প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডাকাতরা প্রথমে ৭ জন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে ফেলে। এরপর গুদামে সংরক্ষিত কাঁচামালের মধ্যে প্রায় ১৫ টন অ্যালুমিনিয়াম বার, ২.৫ টন তামার তার এবং ১ টন বৈদ্যুতিক তার দুটি ট্রাকে তুলে নেয় তারা। পুরো ডাকাতির ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হ্যামকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ডাকাতদল রাত ৮টার দিকে কারখানায় ঢুকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবস্থান করে। তারা ভোর ৪টার দিকে সব মালামাল নিয়ে চলে যায়।”

ডাকাতির খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রবিউল ইসলাম শামীম।

ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর জানান, “ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের বেঁধে রেখে মালামাল লুট করেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডাকাতির ঘটনায় হ্যামকো গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাগেরহাটে মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, কোটি টাকার কাঁচামাল লুট

আপডেট সময় ০৪:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে হ্যামকো গ্রুপের আওতাধীন এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মুখোশধারী ১৫–২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানায় হানা দেয়।

প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডাকাতরা প্রথমে ৭ জন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে ফেলে। এরপর গুদামে সংরক্ষিত কাঁচামালের মধ্যে প্রায় ১৫ টন অ্যালুমিনিয়াম বার, ২.৫ টন তামার তার এবং ১ টন বৈদ্যুতিক তার দুটি ট্রাকে তুলে নেয় তারা। পুরো ডাকাতির ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হ্যামকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ডাকাতদল রাত ৮টার দিকে কারখানায় ঢুকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবস্থান করে। তারা ভোর ৪টার দিকে সব মালামাল নিয়ে চলে যায়।”

ডাকাতির খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রবিউল ইসলাম শামীম।

ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর জানান, “ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের বেঁধে রেখে মালামাল লুট করেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডাকাতির ঘটনায় হ্যামকো গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তারা।