০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 62

ছবি সংগৃহীত

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের আসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিহত মৌকলি বেগম ছিলেন শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান শহিদুল ও তার ভাবী মৌকলি বেগমকে পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগমকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গুরুতর আহত রেহানা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ ৪-৫ জন হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমেই তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ভাবী মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তদন্তের কাজ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

আপডেট সময় ১২:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের আসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিহত মৌকলি বেগম ছিলেন শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান শহিদুল ও তার ভাবী মৌকলি বেগমকে পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগমকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গুরুতর আহত রেহানা বেগম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ ৪-৫ জন হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমেই তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ভাবী মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক পরকীয়া ও পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তদন্তের কাজ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।