০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়, বিপ্লব বেহাতের সূচনা ৮ আগস্ট’: মন্তব্য সারজিস আলমের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

৮ আগস্টকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি, বরং এদিন থেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টই প্রকৃত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’। এই দিনটি ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূল প্রতীক হয়ে উঠেছে।” তার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, দিবসটি প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারি নির্দেশনায় ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এতে করে দিবসটি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেলো এবং প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হবে।

তবে সারজিস আলমের মন্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তার মতে, ৮ আগস্ট নয়, বরং ৫ আগস্টই দেশের জনগণের প্রকৃত জাগরণের দিন, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ ও প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি মনে করেন, এই দিনেই ছাত্র-জনতার বিপ্লব সাফল্য অর্জন করে এবং দেশ একটি নতুন ধারার পথে যাত্রা শুরু করে।

সারজিস আলমের এই বক্তব্য একটি বিকল্প রাজনৈতিক ব্যাখ্যার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যেখানে তিনি নতুন সরকারকে সমর্থন করলেও দিবস নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দিবস ঘোষণা এবং ভিন্নমতের এই অবস্থান দেশব্যাপী নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে আপাতত সরকারিভাবে ৮ আগস্টই ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে এটাই চূড়ান্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়, বিপ্লব বেহাতের সূচনা ৮ আগস্ট’: মন্তব্য সারজিস আলমের

আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

৮ আগস্টকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি, বরং এদিন থেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টই প্রকৃত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’। এই দিনটি ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূল প্রতীক হয়ে উঠেছে।” তার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, দিবসটি প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারি নির্দেশনায় ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এতে করে দিবসটি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেলো এবং প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হবে।

তবে সারজিস আলমের মন্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তার মতে, ৮ আগস্ট নয়, বরং ৫ আগস্টই দেশের জনগণের প্রকৃত জাগরণের দিন, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ ও প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি মনে করেন, এই দিনেই ছাত্র-জনতার বিপ্লব সাফল্য অর্জন করে এবং দেশ একটি নতুন ধারার পথে যাত্রা শুরু করে।

সারজিস আলমের এই বক্তব্য একটি বিকল্প রাজনৈতিক ব্যাখ্যার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যেখানে তিনি নতুন সরকারকে সমর্থন করলেও দিবস নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দিবস ঘোষণা এবং ভিন্নমতের এই অবস্থান দেশব্যাপী নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে আপাতত সরকারিভাবে ৮ আগস্টই ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে এটাই চূড়ান্ত।