ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল বিনিয়োগ সহায়তায় নতুন মাত্রা: বিডার আধুনিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে: রিজভী পাবনার ধর্মঘট প্রত্যাহার, ৪৫ ঘন্টা পর পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল শুরু সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৫৪ লাখ টাকার ট্রাকভর্তি ভারতীয় ফুচকা জব্দ কিশোরগঞ্জের গোরখোদক মনু মিয়া আর নেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ পাকিস্তানে নদীর তীরে পিকনিকে গিয়ে প্রান হারালেন একই পরিবারের ৯ জন পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত খামেনিকে অসম্মান বন্ধের আহ্বান: ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নেই: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “গত ১০ মাসে বর্তমান সরকার সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমকে কোনো প্রকার চাপ দেয়নি, বাধা দেয়নি যেমনটা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেখা গিয়েছিল।”

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে সাংবাদিকদের কোনো ফ্রিডম নেই এই ধারণা ভুল। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বর্তমানে এমন একটি পরিবেশ আছে, যেখানে সাংবাদিকতা চর্চায় এতটা স্বাধীনতা রয়েছে, যা অনেক উন্নত দেশেও দেখা যায় না।”

সেমিনারে অন্য আলোচকরা অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেন। জাতীয় ঐকমত্যের সদস্য ও বেসরকারি সংগঠন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে গণমাধ্যমে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। এর ফলে অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়ে গেছে এবং ফ্যাসিবাদ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “অনিয়ম রুখতে গণমাধ্যমই সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। যদি গণমাধ্যম তার স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পারতো, তবে দেশে জালিয়াতির নির্বাচন থামানো সম্ভব হতো।”

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে সংবাদমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করতে হবে। গণমাধ্যমকে লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা হলে সেখানে স্বাধীনতা টিকবে না। বরং এগুলো নন-প্রফিট মডেলে পরিচালিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।”

তিনি আরও বলেন, “যখন মালিকানার স্বার্থ এবং বাণিজ্যিক চাপ সংবাদ সংস্থার ওপর পড়ে, তখন সত্য বলা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সংকুচিত হয়।”

সেমিনারে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নেই: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৬:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “গত ১০ মাসে বর্তমান সরকার সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমকে কোনো প্রকার চাপ দেয়নি, বাধা দেয়নি যেমনটা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেখা গিয়েছিল।”

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে সাংবাদিকদের কোনো ফ্রিডম নেই এই ধারণা ভুল। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বর্তমানে এমন একটি পরিবেশ আছে, যেখানে সাংবাদিকতা চর্চায় এতটা স্বাধীনতা রয়েছে, যা অনেক উন্নত দেশেও দেখা যায় না।”

সেমিনারে অন্য আলোচকরা অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেন। জাতীয় ঐকমত্যের সদস্য ও বেসরকারি সংগঠন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে গণমাধ্যমে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। এর ফলে অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়ে গেছে এবং ফ্যাসিবাদ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “অনিয়ম রুখতে গণমাধ্যমই সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। যদি গণমাধ্যম তার স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পারতো, তবে দেশে জালিয়াতির নির্বাচন থামানো সম্ভব হতো।”

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে সংবাদমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করতে হবে। গণমাধ্যমকে লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা হলে সেখানে স্বাধীনতা টিকবে না। বরং এগুলো নন-প্রফিট মডেলে পরিচালিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।”

তিনি আরও বলেন, “যখন মালিকানার স্বার্থ এবং বাণিজ্যিক চাপ সংবাদ সংস্থার ওপর পড়ে, তখন সত্য বলা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সংকুচিত হয়।”

সেমিনারে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।