০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কবরস্থানের ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 66

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কবরস্থানের ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০-১২ দিন আগে মাহাজন বাড়ি ও জাকের বাড়ির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একটি বিরোধ দেখা দেয়। তখন স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেরা আবারও ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। খেলার একপর্যায়ে মাহাজন বাড়ির নুরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের কবরস্থান থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে আনে। একই সময়ে জাকের বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ বিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে নেয়। এ নিয়েই শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা।

প্রথমে তর্কাতর্কি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। বিষয়টি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। মাহাজন বাড়ির পক্ষে মোল্লা বাড়ি ও আছিরের বাড়ি এবং জাকের বাড়ির পক্ষে শেখ বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।

রাতে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে একটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং সাতজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং নতুন করে যেন কোনো সংঘর্ষ না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক নজরদারি চলছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কবরস্থানের ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০ জন

আপডেট সময় ০৫:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কবরস্থানের ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০-১২ দিন আগে মাহাজন বাড়ি ও জাকের বাড়ির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একটি বিরোধ দেখা দেয়। তখন স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেরা আবারও ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। খেলার একপর্যায়ে মাহাজন বাড়ির নুরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের কবরস্থান থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে আনে। একই সময়ে জাকের বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ বিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে নেয়। এ নিয়েই শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা।

প্রথমে তর্কাতর্কি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। বিষয়টি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। মাহাজন বাড়ির পক্ষে মোল্লা বাড়ি ও আছিরের বাড়ি এবং জাকের বাড়ির পক্ষে শেখ বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।

রাতে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে একটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং সাতজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং নতুন করে যেন কোনো সংঘর্ষ না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক নজরদারি চলছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।