১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সচিবালয় কর্মচারীদের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 103

ছবি সংগৃহীত

 

চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। আগামী শনিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশজুড়ে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন শত শত কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হন তারা। সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, এই অধ্যাদেশ একটি ‘অবৈধ কালো আইন’ এবং তা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, যতদিন না দাবি পূরণ হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। তারা বিভিন্ন স্লোগানে সচিবালয় প্রাঙ্গণ মুখর করে তোলেন। ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন সব স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।

সমাবেশে ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীর ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রোববার (২২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে, ২৫ মে সন্ধ্যায় সরকার এই অধ্যাদেশটি জারি করে। শুরু থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীরা এটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ আখ্যায়িত করে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, এই সংশোধনীতে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং নিয়োগ ও চাকরি নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তাই অবিলম্বে অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে পরবর্তী ধাপে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ঐক্য ফোরাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সচিবালয় কর্মচারীদের

আপডেট সময় ০৩:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। আগামী শনিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশজুড়ে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন শত শত কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হন তারা। সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, এই অধ্যাদেশ একটি ‘অবৈধ কালো আইন’ এবং তা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, যতদিন না দাবি পূরণ হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। তারা বিভিন্ন স্লোগানে সচিবালয় প্রাঙ্গণ মুখর করে তোলেন। ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন সব স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।

সমাবেশে ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীর ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রোববার (২২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে, ২৫ মে সন্ধ্যায় সরকার এই অধ্যাদেশটি জারি করে। শুরু থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীরা এটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ আখ্যায়িত করে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, এই সংশোধনীতে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং নিয়োগ ও চাকরি নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তাই অবিলম্বে অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে পরবর্তী ধাপে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ঐক্য ফোরাম।