০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ অব্যাহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 200

ছবি সংগৃহীত

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে সচিবালয়ে। সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে শত শত কর্মচারী তাদের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশ নেন। তাঁরা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানকে পুনরায় সক্রিয় করে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে, যা কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রোববার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এ অধ্যাদেশে চারটি নতুন অপরাধের সংজ্ঞা যুক্ত করা হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারীদের জন্য শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অসদাচরণের আওতায় পড়বে।

এই চারটি অপরাধের মধ্যে রয়েছে—

* অনানুগত্যমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বা অন্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্ররোচনা দেওয়া

* যৌক্তিক কারণ বা ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকা

* অন্যদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া বা প্ররোচিত করা

* কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া বা দায়িত্ব পালনে অন্যকে বাধাগ্রস্ত করা

এইসব অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় মামলা রুজুর প্রয়োজন পড়বে না। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং এরপর আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তির আদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অভিযুক্ত কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন, তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না শুধুমাত্র পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন বলছে, এ ধরনের অধ্যাদেশ সরকারি কর্মচারীদের বাকস্বাধীনতা, কর্মস্থলে ন্যায্যতা ও আইনগত সুরক্ষা হরণ করবে। তাই অবিলম্বে এটি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

সচিবালয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ অব্যাহত

আপডেট সময় ০৩:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে সচিবালয়ে। সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে শত শত কর্মচারী তাদের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশ নেন। তাঁরা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানকে পুনরায় সক্রিয় করে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে, যা কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রোববার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এ অধ্যাদেশে চারটি নতুন অপরাধের সংজ্ঞা যুক্ত করা হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারীদের জন্য শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অসদাচরণের আওতায় পড়বে।

এই চারটি অপরাধের মধ্যে রয়েছে—

* অনানুগত্যমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বা অন্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্ররোচনা দেওয়া

* যৌক্তিক কারণ বা ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকা

* অন্যদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া বা প্ররোচিত করা

* কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া বা দায়িত্ব পালনে অন্যকে বাধাগ্রস্ত করা

এইসব অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় মামলা রুজুর প্রয়োজন পড়বে না। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং এরপর আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তির আদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অভিযুক্ত কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন, তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না শুধুমাত্র পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন বলছে, এ ধরনের অধ্যাদেশ সরকারি কর্মচারীদের বাকস্বাধীনতা, কর্মস্থলে ন্যায্যতা ও আইনগত সুরক্ষা হরণ করবে। তাই অবিলম্বে এটি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

সচিবালয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।