ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

চেক পর্বতে রহস্যময় লোহার বাক্স থেকে ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা ও প্রাচীন সামগ্রী উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় পাহাড় আরোহনের সময় এক যুগল পর্বতারোহীর চোখে পড়ে একটি পাথরের ফাঁকে আটকে থাকা পুরনো লোহার বাক্স। এরপর যা দেখা গেল, তা যেন রূপকথার গল্প! বাক্সটি ভর্তি ছিল সোনা ও দুষ্প্রাপ্য মূল্যবান সামগ্রীতে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের সম্ভাব্য মূল্য অন্তত ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

পর্বতারোহীরা জানান, পাথুরে পথে হাঁটার সময় হঠাৎ করেই তারা বাক্সটির সন্ধান পান। ভেতরে ছিল ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা, সোনার ব্রেসলেট, একটি সিগারের বাক্স, পাউডার কম্প্যাক্টসহ বিভিন্ন ধাতব সামগ্রী। তারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান এবং বাক্সটি হ্রাদেক ক্রালোভে জাদুঘরে হস্তান্তর করেন।

জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মিরোস্লাভ নোভাক বলেন, “মুদ্রাগুলোর উৎস এই অঞ্চলের নয়, তাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না কে বা কেন এগুলো এখানে রেখেছিল।” তিনি আরও জানান, বাক্সের ভেতরে থাকা একটি মুদ্রা ১৯২১ সালের। তবে এটি কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

নোভাকের ধারণা, এই সম্পদ হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগমুহূর্তে কোনো চেক বা ইহুদি পরিবার লুকিয়ে রেখেছিল। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, ১৯৪৫ সালে জার্মানদের স্থানান্তরের সময় কেউ হয়তো এটি ফেলে রেখে গিয়েছিল। যদিও এসব এখনো অনুমান পর্যায়েই রয়েছে।

এই খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের মতামত ও সম্ভাব্য ব্যাখ্যা তুলে ধরছেন। জাদুঘরের কর্মীরা এখন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি জিনিস পরীক্ষা করছেন এবং তাদের মূল লক্ষ্য শুধুই আর্থিক মূল্য নির্ধারণ নয়, বরং এই সম্পদের পেছনের ইতিহাস খুঁজে বের করা।

নোভাক বলেন, “আমরা এই বস্তুগুলোর আর্থিক মূল্য জানার পাশাপাশি চাই এগুলোর ইতিহাস জানতেও। এগুলো হয়তো শতবর্ষ আগের কোনো মানুষের জীবনের গল্প তুলে ধরবে আমাদের সামনে।”

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গবেষণা শেষ হলে বাক্সের সব সামগ্রী জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করা হবে। আপাতত এগুলো একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষিত রয়েছে।

এই রহস্যময় আবিষ্কার ইতোমধ্যেই ইতিহাস গবেষক ও সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আগ্রহ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটি এক অমীমাংসিত ধাঁধাই রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চেক পর্বতে রহস্যময় লোহার বাক্স থেকে ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা ও প্রাচীন সামগ্রী উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় পাহাড় আরোহনের সময় এক যুগল পর্বতারোহীর চোখে পড়ে একটি পাথরের ফাঁকে আটকে থাকা পুরনো লোহার বাক্স। এরপর যা দেখা গেল, তা যেন রূপকথার গল্প! বাক্সটি ভর্তি ছিল সোনা ও দুষ্প্রাপ্য মূল্যবান সামগ্রীতে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের সম্ভাব্য মূল্য অন্তত ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

পর্বতারোহীরা জানান, পাথুরে পথে হাঁটার সময় হঠাৎ করেই তারা বাক্সটির সন্ধান পান। ভেতরে ছিল ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা, সোনার ব্রেসলেট, একটি সিগারের বাক্স, পাউডার কম্প্যাক্টসহ বিভিন্ন ধাতব সামগ্রী। তারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান এবং বাক্সটি হ্রাদেক ক্রালোভে জাদুঘরে হস্তান্তর করেন।

জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মিরোস্লাভ নোভাক বলেন, “মুদ্রাগুলোর উৎস এই অঞ্চলের নয়, তাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না কে বা কেন এগুলো এখানে রেখেছিল।” তিনি আরও জানান, বাক্সের ভেতরে থাকা একটি মুদ্রা ১৯২১ সালের। তবে এটি কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

নোভাকের ধারণা, এই সম্পদ হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগমুহূর্তে কোনো চেক বা ইহুদি পরিবার লুকিয়ে রেখেছিল। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, ১৯৪৫ সালে জার্মানদের স্থানান্তরের সময় কেউ হয়তো এটি ফেলে রেখে গিয়েছিল। যদিও এসব এখনো অনুমান পর্যায়েই রয়েছে।

এই খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের মতামত ও সম্ভাব্য ব্যাখ্যা তুলে ধরছেন। জাদুঘরের কর্মীরা এখন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি জিনিস পরীক্ষা করছেন এবং তাদের মূল লক্ষ্য শুধুই আর্থিক মূল্য নির্ধারণ নয়, বরং এই সম্পদের পেছনের ইতিহাস খুঁজে বের করা।

নোভাক বলেন, “আমরা এই বস্তুগুলোর আর্থিক মূল্য জানার পাশাপাশি চাই এগুলোর ইতিহাস জানতেও। এগুলো হয়তো শতবর্ষ আগের কোনো মানুষের জীবনের গল্প তুলে ধরবে আমাদের সামনে।”

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গবেষণা শেষ হলে বাক্সের সব সামগ্রী জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করা হবে। আপাতত এগুলো একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষিত রয়েছে।

এই রহস্যময় আবিষ্কার ইতোমধ্যেই ইতিহাস গবেষক ও সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আগ্রহ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটি এক অমীমাংসিত ধাঁধাই রয়ে গেছে।