ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক-মালিকের ঐক্যই নতুন বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ‘মহান মে দিবস’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, “বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেটের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের মর্যাদার যে দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আজও শ্রমিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।”

তিনি আত্মত্যাগকারী শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, “এই দিনটি শুধু স্মরণ করার নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞা পুনর্বার করার সময়।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে মে দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে’ — এই আহ্বানই আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে চালিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক এবং তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “পোশাক খাত থেকে শুরু করে কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন ও প্রযুক্তি খাত—সব ক্ষেত্রেই শ্রমিক ও মালিকের মেধা ও পরিশ্রমের ছাপ রয়েছে। আসন্ন জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা সফল করতে হবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে।”

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’-এর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন মানেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন।”

শেষে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শ্রমিক ও মালিকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন-যাত্রা আরও গতিশীল ও সমৃদ্ধ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রমিক-মালিকের ঐক্যই নতুন বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ‘মহান মে দিবস’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, “বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেটের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের মর্যাদার যে দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আজও শ্রমিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।”

তিনি আত্মত্যাগকারী শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, “এই দিনটি শুধু স্মরণ করার নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞা পুনর্বার করার সময়।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে মে দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে’ — এই আহ্বানই আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে চালিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক এবং তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “পোশাক খাত থেকে শুরু করে কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন ও প্রযুক্তি খাত—সব ক্ষেত্রেই শ্রমিক ও মালিকের মেধা ও পরিশ্রমের ছাপ রয়েছে। আসন্ন জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা সফল করতে হবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে।”

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’-এর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন মানেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন।”

শেষে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শ্রমিক ও মালিকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন-যাত্রা আরও গতিশীল ও সমৃদ্ধ হবে।