০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 160

ছবি সংগৃহীত

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের চার জাতীয় নেতা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা”— এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সকলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও সমন্বয়ে ভূমিকা রেখেছেন। শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না— যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা।”

বিজ্ঞাপন

সরকারি উপদেষ্টা আরও জানান, মুজিবনগর সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং দেশের পক্ষে বিদেশে কূটনৈতিক প্রচারণা চালানো ব্যক্তিরা “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা কম নয়। রাষ্ট্র তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিতর্ক নয়, এ বিষয়গুলোকে ইতিহাসের বাস্তবতা হিসেবে দেখা উচিত।”

ফারুক-ই-আজম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান ও পরবর্তী নীতিনির্ধারণে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা স্পষ্ট ছিল। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু সংশোধন আনা হয়, যা আরও স্পষ্টতা ও সমন্বয়ের জন্য করা হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা নিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, “জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এটি আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের সমান মর্যাদা দিয়েই ইতিহাসকে সম্মান জানানো উচিত।”

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

আপডেট সময় ০১:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের চার জাতীয় নেতা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা”— এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সকলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও সমন্বয়ে ভূমিকা রেখেছেন। শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না— যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা।”

বিজ্ঞাপন

সরকারি উপদেষ্টা আরও জানান, মুজিবনগর সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং দেশের পক্ষে বিদেশে কূটনৈতিক প্রচারণা চালানো ব্যক্তিরা “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা কম নয়। রাষ্ট্র তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিতর্ক নয়, এ বিষয়গুলোকে ইতিহাসের বাস্তবতা হিসেবে দেখা উচিত।”

ফারুক-ই-আজম বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান ও পরবর্তী নীতিনির্ধারণে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা স্পষ্ট ছিল। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু সংশোধন আনা হয়, যা আরও স্পষ্টতা ও সমন্বয়ের জন্য করা হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা নিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, “জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এটি আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের সমান মর্যাদা দিয়েই ইতিহাসকে সম্মান জানানো উচিত।”

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সংশোধিত অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।