ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইম ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির’ তালিকায় ড. ইউনূস 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাপী আলোচিত টাইম ম্যাগাজিনের ‘১০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল ২০২৫’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের গর্ব, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ‘লিডার’ বা ‘নেতা’ বিভাগে স্থান পেয়েছেন। এই তালিকায় ড. ইউনূসের পাশাপাশি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

ড. ইউনূসের এই অসাধারণ স্বীকৃতি নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে এক আবেগঘন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে এক গণজাগরণে স্বৈরশাসনের পতনের পর দেশের জন্য এক নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ইউনূস। তিনি শুধু একজন নোবেল বিজয়ী নন, বরং একজন সংগ্রামী নেতৃত্ব যিনি সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জীবনে আলো এনেছেন।”

হিলারি আরও স্মরণ করেন, “আমার ও ইউনূসের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল তখন, যখন তিনি আরকানসাসে এসে গভর্নর বিল ক্লিনটন ও আমাকে ক্ষুদ্র ঋণের একটি প্রকল্প শুরু করতে সহায়তা করেছিলেন। তখন থেকেই আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে তার কাজের প্রভাব দেখতে পেয়েছি।”

গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত নারী-পুরুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়াই ইউনূসের অনন্য কীর্তি। উল্লেখযোগ্যভাবে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী যা নারীর ক্ষমতায়নে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে।

বর্তমান সময়েও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস দেশকে নতুন আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন হিলারি। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশকে নিপীড়নের অন্ধকার থেকে জবাবদিহি, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা-ভিত্তিক এক ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তি নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সম্মান যা আমাদের অহংকার ও আশার প্রতীক।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাইম ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির’ তালিকায় ড. ইউনূস 

আপডেট সময় ১০:২৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশ্বব্যাপী আলোচিত টাইম ম্যাগাজিনের ‘১০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল ২০২৫’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের গর্ব, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ‘লিডার’ বা ‘নেতা’ বিভাগে স্থান পেয়েছেন। এই তালিকায় ড. ইউনূসের পাশাপাশি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

ড. ইউনূসের এই অসাধারণ স্বীকৃতি নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে এক আবেগঘন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে এক গণজাগরণে স্বৈরশাসনের পতনের পর দেশের জন্য এক নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ইউনূস। তিনি শুধু একজন নোবেল বিজয়ী নন, বরং একজন সংগ্রামী নেতৃত্ব যিনি সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জীবনে আলো এনেছেন।”

হিলারি আরও স্মরণ করেন, “আমার ও ইউনূসের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল তখন, যখন তিনি আরকানসাসে এসে গভর্নর বিল ক্লিনটন ও আমাকে ক্ষুদ্র ঋণের একটি প্রকল্প শুরু করতে সহায়তা করেছিলেন। তখন থেকেই আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে তার কাজের প্রভাব দেখতে পেয়েছি।”

গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত নারী-পুরুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়াই ইউনূসের অনন্য কীর্তি। উল্লেখযোগ্যভাবে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী যা নারীর ক্ষমতায়নে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে।

বর্তমান সময়েও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস দেশকে নতুন আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন হিলারি। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশকে নিপীড়নের অন্ধকার থেকে জবাবদিহি, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা-ভিত্তিক এক ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তি নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক সম্মান যা আমাদের অহংকার ও আশার প্রতীক।