ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ রোববার আকাশে বিরল বিস্ফোরণের দৃশ্য: আজ দেখা যেতে পারে ‘নোভা’র চমক গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সুইসাইড’ বা আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেলন কিম জং উন: নতুন সামরিক রূপে উত্তর কোরিয়া ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি ঈদ উৎসবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া: উত্তরে প্রস্তুতি চলছে বর্ণিল ঈদ মিছিলের- জানালেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা ঐতিহ্য আর ভক্তির মিলনমেলা—তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নান ও লোকজ উৎসব ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের

ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত থেকে আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।

তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সম্পাদিত আন্তর্জাতিক দরপত্রের (প্যাকেজ-৫) আওতায় ভারত থেকে এমভি ইয়াং সেং ১৫১ জাহাজে এই চাল পাঠানো হয়। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে ভিড়েছে। জাহাজে থাকা চালের গুণগত মান পরীক্ষাও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন দ্রুত চাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এদিকে, ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মোট ৯টি প্যাকেজে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। এরই মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এই চাল সরবরাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি গুদামে পাঠানো হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত হবে। সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিত করতে আমদানিকৃত চালের এ সরবরাহ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং আবহাওয়া জনিত কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা মোকাবেলায় এই ধরনের আমদানি কার্যক্রম সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

সরকার আশা করছে, আমদানিকৃত চালের মজুত ও দ্রুত বিতরণের মাধ্যমে খাদ্য পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বাজারে অস্থিরতা রোধ করা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

ভারত থেকে আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।

তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সম্পাদিত আন্তর্জাতিক দরপত্রের (প্যাকেজ-৫) আওতায় ভারত থেকে এমভি ইয়াং সেং ১৫১ জাহাজে এই চাল পাঠানো হয়। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে ভিড়েছে। জাহাজে থাকা চালের গুণগত মান পরীক্ষাও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন দ্রুত চাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এদিকে, ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মোট ৯টি প্যাকেজে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। এরই মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এই চাল সরবরাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি গুদামে পাঠানো হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত হবে। সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিত করতে আমদানিকৃত চালের এ সরবরাহ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং আবহাওয়া জনিত কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা মোকাবেলায় এই ধরনের আমদানি কার্যক্রম সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

সরকার আশা করছে, আমদানিকৃত চালের মজুত ও দ্রুত বিতরণের মাধ্যমে খাদ্য পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বাজারে অস্থিরতা রোধ করা সম্ভব হবে।