ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক, চাল আমদানির প্রয়োজন পড়বে না: খাদ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহ: দেশের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি জানান, দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ লাখ টন বেশি। এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং যদি আমন ধানও ভালো হয়, তাহলে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।

রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক, খাদ্য অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম, মজুত ও বিতরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা আলী ইমাম বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বোরো সংগ্রহ অভিযান পর্যালোচনা করা এবং কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা।” তিনি জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় চলতি মৌসুমে ৪৭ হাজার ৯৩৬ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮৪৬ টন, যা ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। নেত্রকোনা জেলায় সংগ্রহ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য জেলা পিছিয়ে রয়েছে।

চালের দিক থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ৮২৭ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের, যার জন্য ৪৬০টি মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৭৩ হাজার ২০০ টন, যা ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

উপদেষ্টা বলেন, “নেত্রকোনা হাওর অঞ্চল হওয়ায় সেখানে ধান আগে কাটা হয়, তাই সংগ্রহও এগিয়ে রয়েছে। অন্য জেলাগুলোতে সমন্বয়ের কিছু ঘাটতি ছিল, যা এখন দূর করা হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।”

দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর বিষয়েও কথা বলেন তিনি। আগামী অর্থবছর থেকে ৫৫ লাখ পরিবার বছরে ৬ মাস ৩০ কেজি করে চাল পাবে, যা আগে ছিল ৫০ লাখ পরিবার ও ৫ মাসের জন্য। জেলা প্রশাসকদের তালিকা হালনাগাদ করে অনুপযুক্তদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চালের বাজারদর প্রসঙ্গে আলী ইমাম বলেন, “চাল যারা সহায়তা হিসেবে পাবে, তারা বাজারে চাল কিনবে না, ফলে বাজারে চাপ পড়বে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরাসরি দাম নির্ধারণ না করেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হান্নান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক, চাল আমদানির প্রয়োজন পড়বে না: খাদ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

ময়মনসিংহ: দেশের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি জানান, দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ লাখ টন বেশি। এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং যদি আমন ধানও ভালো হয়, তাহলে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।

রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক, খাদ্য অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম, মজুত ও বিতরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা আলী ইমাম বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বোরো সংগ্রহ অভিযান পর্যালোচনা করা এবং কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা।” তিনি জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় চলতি মৌসুমে ৪৭ হাজার ৯৩৬ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮৪৬ টন, যা ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। নেত্রকোনা জেলায় সংগ্রহ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য জেলা পিছিয়ে রয়েছে।

চালের দিক থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ৮২৭ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের, যার জন্য ৪৬০টি মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৭৩ হাজার ২০০ টন, যা ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

উপদেষ্টা বলেন, “নেত্রকোনা হাওর অঞ্চল হওয়ায় সেখানে ধান আগে কাটা হয়, তাই সংগ্রহও এগিয়ে রয়েছে। অন্য জেলাগুলোতে সমন্বয়ের কিছু ঘাটতি ছিল, যা এখন দূর করা হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।”

দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর বিষয়েও কথা বলেন তিনি। আগামী অর্থবছর থেকে ৫৫ লাখ পরিবার বছরে ৬ মাস ৩০ কেজি করে চাল পাবে, যা আগে ছিল ৫০ লাখ পরিবার ও ৫ মাসের জন্য। জেলা প্রশাসকদের তালিকা হালনাগাদ করে অনুপযুক্তদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চালের বাজারদর প্রসঙ্গে আলী ইমাম বলেন, “চাল যারা সহায়তা হিসেবে পাবে, তারা বাজারে চাল কিনবে না, ফলে বাজারে চাপ পড়বে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরাসরি দাম নির্ধারণ না করেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হান্নান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।