ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাড়লেন, কিশোরগঞ্জে ৩০ নেতাকর্মীর ছাত্রদলে যোগদান সীমান্তে উদ্ধার হওয়া ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি ইশরাক ইস্যুতে বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায়, তবে আদালতের দরকার কী ?: সারজিস শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক হোসেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্য চুরি: অ্যাপ হ্যাকের ঘটনায় হোয়াইট হাউজের স্বীকারোক্তি এলজিইডিতে দুদকের অভিযান, ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ শিক্ষকদের অনাস্থায় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ

শিক্ষকদের অনাস্থায় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষকদের অনাস্থা এবং টানা আন্দোলনের মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কুয়েট রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক হযরত আলী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

মাত্র ১৮ দিন আগে, ৪ মে তিনি কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাঁর ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে। এরপর তাঁকে অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষক মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতি জরুরি সভা ডেকে অধ্যাপক হযরত আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা প্রকাশ করে এবং তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।

এই দাবির প্রেক্ষিতে কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবস্থান ছিল, প্রশাসনের নেতৃত্বে এমন একজনকে থাকতে হবে যিনি শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে সক্ষম। শিক্ষকদের এই অবস্থানের মুখে কোনো প্রতিবাদ না করে শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক হযরত আলী।

এদিকে, উপাচার্যের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নেতৃত্ব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও অভিজ্ঞ কাউকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে আনা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় কুয়েট প্রশাসন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, সুষ্ঠু প্রশাসন ও একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষকদের অনাস্থায় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৩:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষকদের অনাস্থা এবং টানা আন্দোলনের মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কুয়েট রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অধ্যাপক হযরত আলী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

মাত্র ১৮ দিন আগে, ৪ মে তিনি কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাঁর ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে। এরপর তাঁকে অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষক মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতি জরুরি সভা ডেকে অধ্যাপক হযরত আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা প্রকাশ করে এবং তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।

এই দাবির প্রেক্ষিতে কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবস্থান ছিল, প্রশাসনের নেতৃত্বে এমন একজনকে থাকতে হবে যিনি শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে সক্ষম। শিক্ষকদের এই অবস্থানের মুখে কোনো প্রতিবাদ না করে শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক হযরত আলী।

এদিকে, উপাচার্যের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নেতৃত্ব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও অভিজ্ঞ কাউকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে আনা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় কুয়েট প্রশাসন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, সুষ্ঠু প্রশাসন ও একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা এখন সময়ের দাবি।