১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

হলি আর্টিজান হামলা: ৭ জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২২৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, “এই হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর আচরণ এবং এর ফলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় অভিযুক্তদের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদানই ন্যায়বিচারের দাবিসম্মত।”

বিজ্ঞাপন

২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালেদ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ২২ জনকে, যাদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। ওই রাতে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে পুলিশের দুই কর্মকর্তা বোমা হামলায় নিহত হন।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আরও বলা হয়, আসামিরা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ না নিলেও তারা পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ, জঙ্গি সদস্যদের বাছাই, প্রশিক্ষণ ও প্ররোচনায় জড়িত ছিল। তাদের সহায়তায় পাঁচজন হামলাকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে সক্ষম হয়।

আদালতের মতে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারা অনুযায়ী সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যা বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে কার্যকর হবে। আদালত মনে করে, এই শাস্তিই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা দেবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হলি আর্টিজান হামলা: ৭ জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আপডেট সময় ১২:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত জঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২২৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, “এই হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর আচরণ এবং এর ফলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় অভিযুক্তদের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদানই ন্যায়বিচারের দাবিসম্মত।”

বিজ্ঞাপন

২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালেদ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ২২ জনকে, যাদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। ওই রাতে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে পুলিশের দুই কর্মকর্তা বোমা হামলায় নিহত হন।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আরও বলা হয়, আসামিরা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ না নিলেও তারা পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ, জঙ্গি সদস্যদের বাছাই, প্রশিক্ষণ ও প্ররোচনায় জড়িত ছিল। তাদের সহায়তায় পাঁচজন হামলাকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে সক্ষম হয়।

আদালতের মতে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারা অনুযায়ী সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যা বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে কার্যকর হবে। আদালত মনে করে, এই শাস্তিই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা দেবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।