কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে আইএমএফ ছাড়ার সিদ্ধান্ত: ড. আনিসুজ্জামান

- আপডেট সময় ০৬:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 22
কৃষিখাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হলে প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘কৃষিতে বাজেট ২০২৫-২৬ : টেকসই প্রবৃদ্ধির রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “পায়রা বন্দরের প্রকল্প বিষফোড়া হলেও একে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ এর সঙ্গে নানা বিষয় জড়িত। কৃষি বাজেট নিয়ে এখন আলোচনা হলেও তা ৬ মাস আগেই হওয়া উচিত ছিল।”
সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা জানান, আগামী বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। পোল্ট্রি ফিড তৈরির কাঁচামালে শুল্ক কমানো, খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, “খাদ্য মূল্যস্ফীতির পেছনে অন্যতম কারণ কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়া। প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে কৃষিজমি হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, ভূরাজনৈতিক সংকট ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতাও কৃষির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
তারা বলেন, কৃষির টেকসই উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য আসন্ন বাজেটে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বক্তাদের মতে, দেশের বার্ষিক বাজেট বাড়ছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ হারে, কিন্তু কৃষি বাজেট বাড়ছে মাত্র ৩ শতাংশ। তাদের দাবি, জাতীয় বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ কৃষি খাতে এবং ৫ শতাংশ ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
সেমিনারে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণের মাধ্যমে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ ভিয়েতনাম ও চীনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় জলাশয় রক্ষা করা হচ্ছে। আমাদেরও জলাশয়কে ‘রিজার্ভ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।”
ব্লু ইকোনমি প্রসঙ্গে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে বছরে ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে আহরণ হয় মাত্র ০ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন। অথচ এই সামুদ্রিক সম্পদ জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করতে পারে।