ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দীঘিনালায় আঞ্চলিক ০২ সশস্ত্র গ্রুপের গুলাগুলিতে নিহত ৪ কোন কিছুতেই নিয়ন্ত্রন নেই,চাঁদার পরিমান বেড়েছে, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন হয়নি : মির্জা ফখরুল ফ্যাসিবাদ-আধিপত্যবাদের সাথে যুদ্ধ বাদ দিয়ে বিএনপির সঙ্গে যুদ্ধ : আব্দুস সালাম অ্যালামনাই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি অংশ : দুদু ডিএনএ পরীক্ষার পর ফরিদপুরে দাফন করা হলো ছোট্ট রাইসাকে স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের স্বপ্নে পাহাড়ে গড়ে উঠেছে অস্ত্রাগার নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা পিআর, ১৮টি পক্ষে, বিপক্ষে ২৮টি রাজনৈতিক দল চট্টগ্রামে তিনটি আইকনিক ভবনের পরিকল্পনা: এনবিআর ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের পোশাক শিল্প, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ২১ ও ইউরোপে ১৭ শতাংশ মারা গেলেন রেসলিং সুপারস্টার হাল্ক হোগান, শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউ ব্রিটেন, সুনামির আশঙ্কায় তটস্থ পাপুয়া নিউ গিনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনির নিউ ব্রিটেন দ্বীপে শনিবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে এলাকাটি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভোর ৬টা ৪ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দ্বীপটিতে। কম্পনের উৎস ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে আরেকটি আফটারশক, যার মাত্রা ছিল ৫.৩

জোড়া ভূকম্পনের ঘটনায় আশপাশের দ্বীপগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে পাপুয়া নিউ গিনি এবং এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিউ ব্রিটেন দ্বীপে ঢেউয়ের উচ্চতা তিন থেকে নয় ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বিপজ্জনক।

উল্লেখ্য, ভূমিকম্পটির পরপরই সাগরে ঢেউয়ের গতি ও উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাপুয়া নিউ গিনির অন্যান্য উপকূলবর্তী দ্বীপ এবং প্রতিবেশী সলোমন দ্বীপপুঞ্জেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই অঞ্চলটি ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত a ভূপৃষ্ঠের সেই অঞ্চল যা তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের জন্য berহিত। এই অঞ্চলের অনেক দ্বীপেই জনবসতি তুলনামূলকভাবে কম, তবে শক্তিশালী কম্পনের ফলে ভূমিধস, গাছপালা ধস এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। উপকূলবর্তী জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পটি মূল কম্পনের পর আরও কিছু আফটারশক ঘটতে পারে। ফলে এখনই পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউ ব্রিটেন, সুনামির আশঙ্কায় তটস্থ পাপুয়া নিউ গিনি

আপডেট সময় ১১:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনির নিউ ব্রিটেন দ্বীপে শনিবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে এলাকাটি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভোর ৬টা ৪ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দ্বীপটিতে। কম্পনের উৎস ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে আরেকটি আফটারশক, যার মাত্রা ছিল ৫.৩

জোড়া ভূকম্পনের ঘটনায় আশপাশের দ্বীপগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে পাপুয়া নিউ গিনি এবং এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিউ ব্রিটেন দ্বীপে ঢেউয়ের উচ্চতা তিন থেকে নয় ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বিপজ্জনক।

উল্লেখ্য, ভূমিকম্পটির পরপরই সাগরে ঢেউয়ের গতি ও উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাপুয়া নিউ গিনির অন্যান্য উপকূলবর্তী দ্বীপ এবং প্রতিবেশী সলোমন দ্বীপপুঞ্জেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই অঞ্চলটি ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত a ভূপৃষ্ঠের সেই অঞ্চল যা তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের জন্য berহিত। এই অঞ্চলের অনেক দ্বীপেই জনবসতি তুলনামূলকভাবে কম, তবে শক্তিশালী কম্পনের ফলে ভূমিধস, গাছপালা ধস এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। উপকূলবর্তী জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পটি মূল কম্পনের পর আরও কিছু আফটারশক ঘটতে পারে। ফলে এখনই পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।