ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৫ আগস্ট ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন উপেক্ষার জবাবে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক রোনালদোর ঢাবির আবাসিক হলে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা গাজায় একদিনে আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৬১ হাজার মুসলিম দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপীয় রাব্বানিক সম্মেলন, আয়োজক আজারবাইজান যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা”

শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চললেও থেমে নেই ইউক্রেন-রাশিয়ার ভয়াবহ সংঘর্ষ। সৌদি আরবে কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যা যুদ্ধের নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে আরও সামনে এনে দিয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) রুশ-অধিকৃত লুহানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর রকেট হামলায় তিন রুশ সাংবাদিকসহ অন্তত ছয়জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার জবাবে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ১৭ শিশুসহ ৮৮ জন আহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগের দিন, রোববার (২৩ মার্চ) কিয়েভে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন তিনজন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন, যাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।

এই রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির মাঝেও যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। রোববার ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার সৌদি আরবে বসে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। এই ধারাবাহিক আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘শাটল কূটনীতি’ নামে অভিহিত করা হয়েছে, যেখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শান্তির পথ খুঁজে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইল ওলাৎজ জানান, রিয়াদের একই হোটেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে যাতে পরোক্ষভাবে হলেও শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যায়। আলোচনায় রয়েছে কৃষ্ণসাগরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি, নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারণ, শান্তিরক্ষী মোতায়েন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিজ উদ্যোগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনালাপ করেন।

যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তব ময়দানে এখনও রক্ত ঝরছে। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার টেবিলে যুদ্ধবিরতির আলো জ্বলে ওঠে কিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল

আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চললেও থেমে নেই ইউক্রেন-রাশিয়ার ভয়াবহ সংঘর্ষ। সৌদি আরবে কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যা যুদ্ধের নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে আরও সামনে এনে দিয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) রুশ-অধিকৃত লুহানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর রকেট হামলায় তিন রুশ সাংবাদিকসহ অন্তত ছয়জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার জবাবে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ১৭ শিশুসহ ৮৮ জন আহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগের দিন, রোববার (২৩ মার্চ) কিয়েভে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন তিনজন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন, যাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।

এই রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির মাঝেও যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। রোববার ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার সৌদি আরবে বসে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। এই ধারাবাহিক আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘শাটল কূটনীতি’ নামে অভিহিত করা হয়েছে, যেখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শান্তির পথ খুঁজে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইল ওলাৎজ জানান, রিয়াদের একই হোটেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে যাতে পরোক্ষভাবে হলেও শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যায়। আলোচনায় রয়েছে কৃষ্ণসাগরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি, নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারণ, শান্তিরক্ষী মোতায়েন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিজ উদ্যোগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনালাপ করেন।

যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তব ময়দানে এখনও রক্ত ঝরছে। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার টেবিলে যুদ্ধবিরতির আলো জ্বলে ওঠে কিনা।