ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, মার্চ মাসেই ড. ইউনূস স্টারলিংক ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার আলোকে এখন দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।

স্টারলিংক ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে অংশ নিচ্ছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে সেবা শুরু হলে, বাংলাদেশ সরকারের এনজিএসও (Non-Geostationary Satellite Orbit) নীতিমালা অনুসরণ করে কোম্পানিটিকে স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ২৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হবে। এটি মূলত একটি প্রাথমিক ধাপ, যার মাধ্যমে সেবার কার্যকারিতা, গতি ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হবে।

এর আগেই, ৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, স্টারলিংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই সফরের মাধ্যমে স্টারলিংক দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যাতে সেবা চালুর প্রস্তুতি আরও মজবুত হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছাবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ই-কমার্স ও টেলিমেডিসিন খাতে এই সেবা হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পথিকৃৎ।

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে এই অগ্রগতি দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, মার্চ মাসেই ড. ইউনূস স্টারলিংক ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার আলোকে এখন দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।

স্টারলিংক ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে অংশ নিচ্ছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে সেবা শুরু হলে, বাংলাদেশ সরকারের এনজিএসও (Non-Geostationary Satellite Orbit) নীতিমালা অনুসরণ করে কোম্পানিটিকে স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ২৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হবে। এটি মূলত একটি প্রাথমিক ধাপ, যার মাধ্যমে সেবার কার্যকারিতা, গতি ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হবে।

এর আগেই, ৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, স্টারলিংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই সফরের মাধ্যমে স্টারলিংক দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যাতে সেবা চালুর প্রস্তুতি আরও মজবুত হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছাবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ই-কমার্স ও টেলিমেডিসিন খাতে এই সেবা হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পথিকৃৎ।

বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে এই অগ্রগতি দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।