০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 73

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রাথমিক শঙ্কা কাটলেও আগামী কয়েক দিন তাঁকে কঠোরভাবে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুতই তাঁকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং পরানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ হাসপাতালে গিয়ে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে অধ্যাপক ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, “তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই ভালো। আজ ইকো কার্ডিওগ্রাফিতে তাঁর হার্ট ফাংশন স্বাভাবিকই দেখা গেছে। তবে এটি একটি ছদ্ম স্বস্তি হতে পারে। যেকোনো সময় আবারও অনিয়মিত বিট হতে পারে। যদিও ঝুঁকির মাত্রা খুবই কম, এক শতাংশেরও নিচে।”

তাঁর মতে, এই মুহূর্তে তামিমের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালেই থেকে পর্যবেক্ষণে থাকা। উত্তেজনা এড়িয়ে চলা, বিশ্রামে থাকা এবং কথাবার্তা কম বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরবর্তী চিকিৎসা ও স্থানান্তর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তামিমের পরিবার। তবে পরিবারের এক চিকিৎসক সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ চলছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, “হার্টে রিং বসানো হয়েছে, যেটা একটি ফরেইন বডি। মাঝে মাঝে এতে রিঅ্যাকশন হতে পারে, যেটাকে থ্রোম্বোসিস বলা হয়। ঝুঁকি কম হলেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছি।” তামিমের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। এর মধ্যে খেলাধুলা একেবারে নিষেধ। তবে হাঁটাচলা ও হালকা কাজকর্ম করতে পারবেন তিনি।

এই মুহূর্তে তামিমের সুরক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মত চিকিৎসকদের। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, যেকোনো স্থানান্তর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শকেই গুরুত্ব দিতে বলছেন তাঁরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

আপডেট সময় ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রাথমিক শঙ্কা কাটলেও আগামী কয়েক দিন তাঁকে কঠোরভাবে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুতই তাঁকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং পরানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ হাসপাতালে গিয়ে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে অধ্যাপক ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, “তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই ভালো। আজ ইকো কার্ডিওগ্রাফিতে তাঁর হার্ট ফাংশন স্বাভাবিকই দেখা গেছে। তবে এটি একটি ছদ্ম স্বস্তি হতে পারে। যেকোনো সময় আবারও অনিয়মিত বিট হতে পারে। যদিও ঝুঁকির মাত্রা খুবই কম, এক শতাংশেরও নিচে।”

তাঁর মতে, এই মুহূর্তে তামিমের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালেই থেকে পর্যবেক্ষণে থাকা। উত্তেজনা এড়িয়ে চলা, বিশ্রামে থাকা এবং কথাবার্তা কম বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরবর্তী চিকিৎসা ও স্থানান্তর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তামিমের পরিবার। তবে পরিবারের এক চিকিৎসক সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ চলছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, “হার্টে রিং বসানো হয়েছে, যেটা একটি ফরেইন বডি। মাঝে মাঝে এতে রিঅ্যাকশন হতে পারে, যেটাকে থ্রোম্বোসিস বলা হয়। ঝুঁকি কম হলেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছি।” তামিমের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। এর মধ্যে খেলাধুলা একেবারে নিষেধ। তবে হাঁটাচলা ও হালকা কাজকর্ম করতে পারবেন তিনি।

এই মুহূর্তে তামিমের সুরক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মত চিকিৎসকদের। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, যেকোনো স্থানান্তর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শকেই গুরুত্ব দিতে বলছেন তাঁরা।