০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রাথমিক শঙ্কা কাটলেও আগামী কয়েক দিন তাঁকে কঠোরভাবে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুতই তাঁকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং পরানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ হাসপাতালে গিয়ে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে অধ্যাপক ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, “তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই ভালো। আজ ইকো কার্ডিওগ্রাফিতে তাঁর হার্ট ফাংশন স্বাভাবিকই দেখা গেছে। তবে এটি একটি ছদ্ম স্বস্তি হতে পারে। যেকোনো সময় আবারও অনিয়মিত বিট হতে পারে। যদিও ঝুঁকির মাত্রা খুবই কম, এক শতাংশেরও নিচে।”

তাঁর মতে, এই মুহূর্তে তামিমের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালেই থেকে পর্যবেক্ষণে থাকা। উত্তেজনা এড়িয়ে চলা, বিশ্রামে থাকা এবং কথাবার্তা কম বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরবর্তী চিকিৎসা ও স্থানান্তর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তামিমের পরিবার। তবে পরিবারের এক চিকিৎসক সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ চলছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, “হার্টে রিং বসানো হয়েছে, যেটা একটি ফরেইন বডি। মাঝে মাঝে এতে রিঅ্যাকশন হতে পারে, যেটাকে থ্রোম্বোসিস বলা হয়। ঝুঁকি কম হলেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছি।” তামিমের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। এর মধ্যে খেলাধুলা একেবারে নিষেধ। তবে হাঁটাচলা ও হালকা কাজকর্ম করতে পারবেন তিনি।

এই মুহূর্তে তামিমের সুরক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মত চিকিৎসকদের। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, যেকোনো স্থানান্তর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শকেই গুরুত্ব দিতে বলছেন তাঁরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

আপডেট সময় ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রাথমিক শঙ্কা কাটলেও আগামী কয়েক দিন তাঁকে কঠোরভাবে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুতই তাঁকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং পরানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল ওয়াদুদ হাসপাতালে গিয়ে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে অধ্যাপক ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, “তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই ভালো। আজ ইকো কার্ডিওগ্রাফিতে তাঁর হার্ট ফাংশন স্বাভাবিকই দেখা গেছে। তবে এটি একটি ছদ্ম স্বস্তি হতে পারে। যেকোনো সময় আবারও অনিয়মিত বিট হতে পারে। যদিও ঝুঁকির মাত্রা খুবই কম, এক শতাংশেরও নিচে।”

তাঁর মতে, এই মুহূর্তে তামিমের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালেই থেকে পর্যবেক্ষণে থাকা। উত্তেজনা এড়িয়ে চলা, বিশ্রামে থাকা এবং কথাবার্তা কম বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরবর্তী চিকিৎসা ও স্থানান্তর নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তামিমের পরিবার। তবে পরিবারের এক চিকিৎসক সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ চলছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, “হার্টে রিং বসানো হয়েছে, যেটা একটি ফরেইন বডি। মাঝে মাঝে এতে রিঅ্যাকশন হতে পারে, যেটাকে থ্রোম্বোসিস বলা হয়। ঝুঁকি কম হলেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছি।” তামিমের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। এর মধ্যে খেলাধুলা একেবারে নিষেধ। তবে হাঁটাচলা ও হালকা কাজকর্ম করতে পারবেন তিনি।

এই মুহূর্তে তামিমের সুরক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মত চিকিৎসকদের। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, যেকোনো স্থানান্তর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শকেই গুরুত্ব দিতে বলছেন তাঁরা।