ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ভারত থেকে এসেছে আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল, দ্রুত শুরু হচ্ছে খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা আরও ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এসে পৌঁছেছে। সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা চালবাহী এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। এই চাল ভারত থেকে আমদানি করা মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের অংশ, যার মধ্যে ৯টি প্যাকেজে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এরই মধ্যে আমদানি চুক্তির আওতায় ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে। নতুন করে আসা চালের নমুনা পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে এবং চাল খালাসের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বাজারে চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে সরকার ধারাবাহিকভাবে চাল আমদানি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে চাল সংগ্রহ করে দেশের অভ্যন্তরীণ মজুত শক্তিশালী করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। জানা গেছে, আমদানিকৃত চালগুলো দেশের বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চাল আমদানির ফলে দেশের চালের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসবে এবং দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে রমজান মাসে বাজারে চাপ মোকাবিলায় এই চাল বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চাল খালাসের পরপরই দ্রুত দেশের বিভিন্ন স্থানে তা পাঠানো হবে, যাতে মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে। সরকার আশা করছে, ধারাবাহিক আমদানির এই উদ্যোগ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত থেকে এসেছে আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল, দ্রুত শুরু হচ্ছে খালাস

আপডেট সময় ০৪:১২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা আরও ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এসে পৌঁছেছে। সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা চালবাহী এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। এই চাল ভারত থেকে আমদানি করা মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের অংশ, যার মধ্যে ৯টি প্যাকেজে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এরই মধ্যে আমদানি চুক্তির আওতায় ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে। নতুন করে আসা চালের নমুনা পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে এবং চাল খালাসের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বাজারে চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে সরকার ধারাবাহিকভাবে চাল আমদানি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে চাল সংগ্রহ করে দেশের অভ্যন্তরীণ মজুত শক্তিশালী করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। জানা গেছে, আমদানিকৃত চালগুলো দেশের বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চাল আমদানির ফলে দেশের চালের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসবে এবং দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে রমজান মাসে বাজারে চাপ মোকাবিলায় এই চাল বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চাল খালাসের পরপরই দ্রুত দেশের বিভিন্ন স্থানে তা পাঠানো হবে, যাতে মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে। সরকার আশা করছে, ধারাবাহিক আমদানির এই উদ্যোগ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।