ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মেসির জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড, তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভানও ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলো বাবা-মা নতুন ৩ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দলে নারী নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : এনসিপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে: নির্বাচন কমিশনার ৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ঘোষণা সরকারি ছুটির: উপদেষ্টা ফারুকী মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু ইরানে হামলার অনুমোদন ট্রাম্পের, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য রাজস্থলীতে ৫০টি গ্রাম বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক থেকে বঞ্চিত

২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ডাক দিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি, ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

কানাডার রাজনীতিতে বড়সড় নাটকীয় মোড়! সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২৮ এপ্রিল দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে আগাম নির্বাচন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আসেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর কার্নি। যদিও জাতীয় নির্বাচনে এটি তাঁর প্রথম অংশগ্রহণ, তবে জনসভার ভাষণ আর আত্মবিশ্বাসে স্পষ্ট তিনি কোনোভাবেই নতুন খেলোয়াড় নন।

আগামী অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক মাস এগিয়ে এনে কার্নি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু ট্রাম্পের আগ্রাসন ও বাণিজ্য যুদ্ধ। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “ট্রাম্প আমাদের বিভক্ত করতে চায়, যেন আমেরিকা আমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। আমরা তা হতে দেব না।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা একটি গভীর সংকটে যেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমার লক্ষ্য একটি শক্তিশালী, নিরাপদ কানাডা গড়ে তোলা।”

গত এক দশকের শাসনকালে লিবারেল সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করলেও, দেশপ্রেম আর জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কার্নি নতুন করে জনমনে আস্থা ফেরাতে পেরেছেন। এরই মধ্যে লিবারেলদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সিবিসি নিউজ পোল ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, লিবারেল পার্টি পেয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ জনসমর্থন, যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভদের সমর্থন ৩৭.১ শতাংশ।

পিয়েরে পইলিভর নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি এবং জগমিত সিংয়ের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিও লড়াইয়ে রয়েছে। তবে এবার কানাডার নির্বাচনে অভিবাসন বা জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো অভ্যন্তরীণ ইস্যু ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন কে ট্রাম্পকে ঠেকাতে পারবে ভালোভাবে?

দেশের ৩৪৩টি আসনে ভোট হবে, যার ভিত্তিতে গঠিত হবে পরবর্তী সরকার। লড়াই জমে উঠেছে, আর কার্নি সেই লড়াইয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন জোরালোভাবেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ডাক দিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি, ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই

আপডেট সময় ১০:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

কানাডার রাজনীতিতে বড়সড় নাটকীয় মোড়! সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২৮ এপ্রিল দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে আগাম নির্বাচন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আসেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর কার্নি। যদিও জাতীয় নির্বাচনে এটি তাঁর প্রথম অংশগ্রহণ, তবে জনসভার ভাষণ আর আত্মবিশ্বাসে স্পষ্ট তিনি কোনোভাবেই নতুন খেলোয়াড় নন।

আগামী অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক মাস এগিয়ে এনে কার্নি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু ট্রাম্পের আগ্রাসন ও বাণিজ্য যুদ্ধ। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “ট্রাম্প আমাদের বিভক্ত করতে চায়, যেন আমেরিকা আমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। আমরা তা হতে দেব না।”

তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা একটি গভীর সংকটে যেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমার লক্ষ্য একটি শক্তিশালী, নিরাপদ কানাডা গড়ে তোলা।”

গত এক দশকের শাসনকালে লিবারেল সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করলেও, দেশপ্রেম আর জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কার্নি নতুন করে জনমনে আস্থা ফেরাতে পেরেছেন। এরই মধ্যে লিবারেলদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সিবিসি নিউজ পোল ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, লিবারেল পার্টি পেয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ জনসমর্থন, যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভদের সমর্থন ৩৭.১ শতাংশ।

পিয়েরে পইলিভর নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি এবং জগমিত সিংয়ের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিও লড়াইয়ে রয়েছে। তবে এবার কানাডার নির্বাচনে অভিবাসন বা জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো অভ্যন্তরীণ ইস্যু ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন কে ট্রাম্পকে ঠেকাতে পারবে ভালোভাবে?

দেশের ৩৪৩টি আসনে ভোট হবে, যার ভিত্তিতে গঠিত হবে পরবর্তী সরকার। লড়াই জমে উঠেছে, আর কার্নি সেই লড়াইয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন জোরালোভাবেই।