০৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তের পথে ইসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 86

ছবি: সংগৃহীত

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে এই বৈঠক শুরু হয়। এর আগে কমিশনের পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংস্কার উপকমিটি সুপারিশ করে যে, যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে আগের নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গত ১২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সাধারণত প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছরের জন্য পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি সংস্থার মেয়াদ ছিল ২০২৮ সাল পর্যন্ত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ২০২৯ সালের শুরুতে নির্ধারিত থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সময়সীমা এগিয়ে এসেছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে, এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে। এই পরিবর্তনের ফলে নির্বাচন কমিশন নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

২০২৩ সালের শেষার্ধে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২১১টি সংস্থার আবেদনের বিপরীতে ৯৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল। তবে এসব সংস্থার মধ্যে বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল।

এ ছাড়া অধিকাংশ সংস্থারই পর্যাপ্ত লোকবল ছিল না, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল অনুপস্থিত এবং গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে সম্পৃক্ত থাকার শর্তও অনেক সংস্থা পূরণ করতে পারেনি। ফলে এই সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরেই নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগের সংস্থাগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হতে পারে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৯৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তের পথে ইসি

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে এই বৈঠক শুরু হয়। এর আগে কমিশনের পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংস্কার উপকমিটি সুপারিশ করে যে, যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে আগের নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গত ১২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সাধারণত প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছরের জন্য পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি সংস্থার মেয়াদ ছিল ২০২৮ সাল পর্যন্ত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ২০২৯ সালের শুরুতে নির্ধারিত থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সময়সীমা এগিয়ে এসেছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে, এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে। এই পরিবর্তনের ফলে নির্বাচন কমিশন নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

২০২৩ সালের শেষার্ধে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২১১টি সংস্থার আবেদনের বিপরীতে ৯৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল। তবে এসব সংস্থার মধ্যে বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল।

এ ছাড়া অধিকাংশ সংস্থারই পর্যাপ্ত লোকবল ছিল না, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল অনুপস্থিত এবং গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে সম্পৃক্ত থাকার শর্তও অনেক সংস্থা পূরণ করতে পারেনি। ফলে এই সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরেই নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগের সংস্থাগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হতে পারে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।