ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকানা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতেই তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনালাপে ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেন। হোয়াইট হাউস এই আলোচনাকে ‘খুব ভালো’ বলে অভিহিত করেছে।

ওভাল অফিসের এক বিতর্কের পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র নিলে সেগুলো আরও কার্যকরভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা যেতে পারে বলে তিনি মত দেন।

তবে এটি শুধুই নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, এর অর্থনৈতিক দিকও স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়, তাহলে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্প শুধু ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেননি, বরং দেশটির নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখার বিষয়েও নিশ্চয়তা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এটি হবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একইসঙ্গে, এটি রাশিয়ার ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবনা

আপডেট সময় ০৪:০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকানা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতেই তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনালাপে ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেন। হোয়াইট হাউস এই আলোচনাকে ‘খুব ভালো’ বলে অভিহিত করেছে।

ওভাল অফিসের এক বিতর্কের পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র নিলে সেগুলো আরও কার্যকরভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা যেতে পারে বলে তিনি মত দেন।

তবে এটি শুধুই নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, এর অর্থনৈতিক দিকও স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়, তাহলে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্প শুধু ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেননি, বরং দেশটির নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখার বিষয়েও নিশ্চয়তা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এটি হবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একইসঙ্গে, এটি রাশিয়ার ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।