ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

ন্যায়নিষ্ঠ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন মানেই দেশের অগ্রগতি। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করতেই হবে।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে মাদরাসা শিক্ষা বহু পুরোনো। আরব বণিকদের হাত ধরে এর সূচনা হয়। মোহাম্মদ ঘুরির ভারত বিজয়ের পর আজমীরে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১১৯২ সালে। এরপর মুঘল আমলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা শিক্ষা প্রসার লাভ করে। ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা-ই-আলিয়া ছিল এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পরবর্তীতে বাংলাদেশেও আলিয়া মাদরাসার যাত্রা শুরু হয়।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত তিনটি ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অন্যতম। বর্তমানে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ শিক্ষার্থী ও দুই লাখের বেশি শিক্ষক এই শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা সময়ের দাবি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী ও মাদরাসা দারুল রাশাদের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কর্মমুখী শিক্ষার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলেই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হবে। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ন্যায়নিষ্ঠ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন মানেই দেশের অগ্রগতি। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করতেই হবে।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে মাদরাসা শিক্ষা বহু পুরোনো। আরব বণিকদের হাত ধরে এর সূচনা হয়। মোহাম্মদ ঘুরির ভারত বিজয়ের পর আজমীরে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১১৯২ সালে। এরপর মুঘল আমলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা শিক্ষা প্রসার লাভ করে। ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা-ই-আলিয়া ছিল এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পরবর্তীতে বাংলাদেশেও আলিয়া মাদরাসার যাত্রা শুরু হয়।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত তিনটি ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অন্যতম। বর্তমানে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ শিক্ষার্থী ও দুই লাখের বেশি শিক্ষক এই শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা সময়ের দাবি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী ও মাদরাসা দারুল রাশাদের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কর্মমুখী শিক্ষার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলেই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হবে। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই যাবে।