ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

মিসরে ভিন্ন আমেজে এবারের রমজান উদযাপন, এবার শুধু উপবাস নয়, সংহতিরও প্রতীক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজার চলমান ইসরাইলি হামলা মিসরের রমজান উদযাপনকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। এবারের রমজান শুধুই আত্মশুদ্ধি আর সংযমের নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় হাঁটলেই বোঝা যায়, মিসরীয়রা তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের দাবি ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করছে।

রমজানে ঐতিহ্যগতভাবে মিসরের রাস্তাঘাটে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখা যায়। এবার সেই আলোয় ফুটে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। লণ্ঠন, ফেয়ারি লাইটের সঙ্গে উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। প্রতিটি গলি যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন ধারণ করছে। শুধু আলোকসজ্জা নয়, মিসরের ব্যবসায়ীরাও ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশে নেমেছেন।

আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত হাক্কানিয়া বাজারের খেজুর বিক্রেতারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। বাজারের বিভিন্ন খেজুরের নামকরণ করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থানের নামে ‘আরব গাজা খেজুর’, ‘মিসরীয় রাফাহ খেজুর’। ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হামদান বললেন, এই নামকরণের উদ্দেশ্য শুধু বাণিজ্য নয়, এটি গাজার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশের মাধ্যম।

ক্রেতারাও এই উদ্যোগে আনন্দিত। ৫১ বছর বয়সী আহমদ সাঈদ খেজুর কিনে জানালেন, এটি তাঁর জন্য শুধু কেনাকাটা নয়, বরং একাত্মতা প্রকাশের প্রতীক। গৃহবধূ সালমা ফুয়াদ বললেন, “ব্যবসার সঙ্গে সংহতি মেশানোয় কোনো ভুল নেই। আমরা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি না, বরং কিছু দেশের পণ্য বর্জন করেও প্রতিবাদ করছি।”

শিশুরাও রমজানের নতুন এই পরিবর্তন নিয়ে কৌতূহলী। রাস্তায় উড়তে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকা দেখে ছোট্ট এক ছেলে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “এটা কোন দেশের পতাকা?” মা উত্তর দিয়েছিলেন, “এটা গাজার পতাকা। সেখানে তোমার মতো শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

মিসরীয়দের কাছে এবারের রমজান শুধুই রোজার মাস নয়, এটি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সংহতির মাস। তাদের বিশ্বাস, এই রমজান ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন আরও জোরালো করবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিসরে ভিন্ন আমেজে এবারের রমজান উদযাপন, এবার শুধু উপবাস নয়, সংহতিরও প্রতীক

আপডেট সময় ১২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

গাজার চলমান ইসরাইলি হামলা মিসরের রমজান উদযাপনকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। এবারের রমজান শুধুই আত্মশুদ্ধি আর সংযমের নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় হাঁটলেই বোঝা যায়, মিসরীয়রা তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের দাবি ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করছে।

রমজানে ঐতিহ্যগতভাবে মিসরের রাস্তাঘাটে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখা যায়। এবার সেই আলোয় ফুটে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। লণ্ঠন, ফেয়ারি লাইটের সঙ্গে উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। প্রতিটি গলি যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন ধারণ করছে। শুধু আলোকসজ্জা নয়, মিসরের ব্যবসায়ীরাও ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশে নেমেছেন।

আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত হাক্কানিয়া বাজারের খেজুর বিক্রেতারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। বাজারের বিভিন্ন খেজুরের নামকরণ করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থানের নামে ‘আরব গাজা খেজুর’, ‘মিসরীয় রাফাহ খেজুর’। ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হামদান বললেন, এই নামকরণের উদ্দেশ্য শুধু বাণিজ্য নয়, এটি গাজার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশের মাধ্যম।

ক্রেতারাও এই উদ্যোগে আনন্দিত। ৫১ বছর বয়সী আহমদ সাঈদ খেজুর কিনে জানালেন, এটি তাঁর জন্য শুধু কেনাকাটা নয়, বরং একাত্মতা প্রকাশের প্রতীক। গৃহবধূ সালমা ফুয়াদ বললেন, “ব্যবসার সঙ্গে সংহতি মেশানোয় কোনো ভুল নেই। আমরা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি না, বরং কিছু দেশের পণ্য বর্জন করেও প্রতিবাদ করছি।”

শিশুরাও রমজানের নতুন এই পরিবর্তন নিয়ে কৌতূহলী। রাস্তায় উড়তে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকা দেখে ছোট্ট এক ছেলে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “এটা কোন দেশের পতাকা?” মা উত্তর দিয়েছিলেন, “এটা গাজার পতাকা। সেখানে তোমার মতো শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

মিসরীয়দের কাছে এবারের রমজান শুধুই রোজার মাস নয়, এটি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সংহতির মাস। তাদের বিশ্বাস, এই রমজান ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন আরও জোরালো করবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করবে।