ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আবারও বাড়ল: প্রতিবেদন জমা হবে জুনে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধি করেছে সরকার। এবার নতুন মেয়াদ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরে প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কমিশনস অব ইনকোয়্যারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ ধারা অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এ আদেশ ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।’

গত বছরের ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনটি গঠন করা হয়েছিল। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

প্রথমে এই কমিশনকে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়। পরে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় সরকার ফের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিল।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। কমিশন ইতোমধ্যে এর মধ্যে ৩৮৩টি অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই সম্পন্ন করেছে। যাচাইকৃত অভিযোগগুলোর মধ্যে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগই বেশি। কমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে নির্যাতিত পরিবারগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকবে বলে তারা আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আবারও বাড়ল: প্রতিবেদন জমা হবে জুনে

আপডেট সময় ১২:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধি করেছে সরকার। এবার নতুন মেয়াদ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরে প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কমিশনস অব ইনকোয়্যারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ ধারা অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এ আদেশ ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।’

গত বছরের ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনটি গঠন করা হয়েছিল। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

প্রথমে এই কমিশনকে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়। পরে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় সরকার ফের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিল।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। কমিশন ইতোমধ্যে এর মধ্যে ৩৮৩টি অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই সম্পন্ন করেছে। যাচাইকৃত অভিযোগগুলোর মধ্যে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগই বেশি। কমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে নির্যাতিত পরিবারগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকবে বলে তারা আশাবাদী।