ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট: ঈদের আগে পরিস্থিতি শঙ্কাজনক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারের জট কিছুটা কমেছে। পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে বন্দরে কনটেইনারের চাপ অনেকটাই শিথিল হয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে, এখনও বন্দরের ধারণক্ষমতার তুলনায় আড়াই শতাধিক কনটেইনার জমে রয়েছে।

এদিকে, পবিত্র রমজান মাসে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও ঈদের সময় আবার কনটেইনারের জট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঈদের সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে, যার ফলে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই বিষয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ১,৮১১টি, যা বন্দরের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। সেই সময়ে, বন্দরে প্রতিদিন গড়ে দুটি ট্রেনও চলাচল করছিল না। ফলে কনটেইনার নামানোর পর ঢাকার কমলাপুর ডিপোতে পৌঁছাতে প্রায় ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হতো। তবে ১১ মার্চে কনটেইনারের সংখ্যা কমে ১,১০৫-এ নেমে এসেছে। বর্তমানে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে এবং পণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ঢাকাগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের উপর চাপ কিছুটা কমেছে। তবে ঈদের সময় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে যৌথভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, কমলাপুরগামী কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পানগাঁওয়ের নৌপথে কনটেইনার খালাসের সুযোগ সৃষ্টি। এসব উদ্যোগের ফলস্বরূপ বন্দরের কনটেইনার জট কিছুটা কমেছে।

তবে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে চলাচলকারী ট্রেনের জন্য ১১৬টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন, কিন্তু ইঞ্জিনসংকটের কারণে প্রতিদিন মাত্র ৮০ থেকে ৮৫টি ইঞ্জিন পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বেড়ে গেলে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা আরও কমতে পারে, যা কনটেইনার পরিবহনকে পুনরায় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট: ঈদের আগে পরিস্থিতি শঙ্কাজনক

আপডেট সময় ০৪:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারের জট কিছুটা কমেছে। পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে বন্দরে কনটেইনারের চাপ অনেকটাই শিথিল হয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে, এখনও বন্দরের ধারণক্ষমতার তুলনায় আড়াই শতাধিক কনটেইনার জমে রয়েছে।

এদিকে, পবিত্র রমজান মাসে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও ঈদের সময় আবার কনটেইনারের জট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঈদের সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে, যার ফলে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই বিষয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ১,৮১১টি, যা বন্দরের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। সেই সময়ে, বন্দরে প্রতিদিন গড়ে দুটি ট্রেনও চলাচল করছিল না। ফলে কনটেইনার নামানোর পর ঢাকার কমলাপুর ডিপোতে পৌঁছাতে প্রায় ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হতো। তবে ১১ মার্চে কনটেইনারের সংখ্যা কমে ১,১০৫-এ নেমে এসেছে। বর্তমানে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে এবং পণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ঢাকাগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের উপর চাপ কিছুটা কমেছে। তবে ঈদের সময় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে যৌথভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, কমলাপুরগামী কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পানগাঁওয়ের নৌপথে কনটেইনার খালাসের সুযোগ সৃষ্টি। এসব উদ্যোগের ফলস্বরূপ বন্দরের কনটেইনার জট কিছুটা কমেছে।

তবে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে চলাচলকারী ট্রেনের জন্য ১১৬টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন, কিন্তু ইঞ্জিনসংকটের কারণে প্রতিদিন মাত্র ৮০ থেকে ৮৫টি ইঞ্জিন পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বেড়ে গেলে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা আরও কমতে পারে, যা কনটেইনার পরিবহনকে পুনরায় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে।