ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

ইরানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ: ‘আপনি যা খুশি করুন’

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না, বিশেষত যখন তাদের হুমকির মুখে দেশটি রয়েছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি যা খুশি তা করুন, আমাদের এতে কোনো সমস্যা নেই।” ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পেজেশকিয়ান আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা আমাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আমি কখনোই ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত নই।” তার এই বক্তব্যে একথা স্পষ্ট যে, ইরান তার বিরুদ্ধে আমেরিকার চাপকে মাথায় না রেখে, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, তেহরানকে কোনো ধরনের হুমকি দিয়ে আলোচনায় বসানো সম্ভব নয়। তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে ইরানের জাতীয় স্বার্থ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। এর একদিন আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে আন্তরিক। তবে, ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অঙ্গীকার করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আদর্শ মনে হলেও, তার প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে আবারও ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্প গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইরানকে মোকাবেলা করার দুটি পথ রয়েছে একটি হচ্ছে সামরিক শক্তি প্রয়োগ, অন্যটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধে চুক্তি করা।”

ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা অস্বীকার করে আসলেও, দেশটি বর্তমানে ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিশুদ্ধতার দিকে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

২০১৯ সালে ট্রাম্প ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে, তার প্রথম মেয়াদে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

ইরানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ: ‘আপনি যা খুশি করুন’

আপডেট সময় ১২:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না, বিশেষত যখন তাদের হুমকির মুখে দেশটি রয়েছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি যা খুশি তা করুন, আমাদের এতে কোনো সমস্যা নেই।” ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পেজেশকিয়ান আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা আমাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আমি কখনোই ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত নই।” তার এই বক্তব্যে একথা স্পষ্ট যে, ইরান তার বিরুদ্ধে আমেরিকার চাপকে মাথায় না রেখে, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, তেহরানকে কোনো ধরনের হুমকি দিয়ে আলোচনায় বসানো সম্ভব নয়। তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে ইরানের জাতীয় স্বার্থ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। এর একদিন আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে আন্তরিক। তবে, ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অঙ্গীকার করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আদর্শ মনে হলেও, তার প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে আবারও ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্প গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইরানকে মোকাবেলা করার দুটি পথ রয়েছে একটি হচ্ছে সামরিক শক্তি প্রয়োগ, অন্যটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধে চুক্তি করা।”

ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা অস্বীকার করে আসলেও, দেশটি বর্তমানে ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিশুদ্ধতার দিকে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

২০১৯ সালে ট্রাম্প ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে, তার প্রথম মেয়াদে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।