বিদেশে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার ফেরাতে দৃঢ় পদক্ষেপ: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ চলতি বছরেই দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, যার প্রভাব আগামী মাসেই দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন, “পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে নির্দিষ্ট কিছু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। সে জন্য সরকার একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অধ্যাদেশ হিসেবে কার্যকর করা হবে।”
অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়ায় গতি আনতে ইতোমধ্যে প্রায় ২০০টি আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশের আর্থিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ভূমিকা রাখবে।
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য বিশেষ আইন দ্রুত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়। দেশের জনগণের টাকা ফেরানো আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।”
তিনি আরও জানান, অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করতে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী অর্থপাচার মোকাবিলায় অন্যান্য দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করছে। অর্থ উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও সুসংহত হবে এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।