ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

অর্থ পাচারের অভিযোগে আপিল বিভাগ থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে অর্থপাচার আইনে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

গত ৪ মার্চ, আপিল শুনানির পর রায়ের জন্য এদিন নির্ধারণ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে, ১০ ডিসেম্বর মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের অনুমতি দিয়ে দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর, মামুন আপিল করার পর এ রায় আসে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুদক রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।

মামলায় বলা হয়, টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এই টাকা সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয় এবং মামুন সিটি ব্যাংক এনএ-তে নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। পরে, এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।

মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেটও ছিলেন। তবে আপিল বিভাগের রায়ে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে দুই আসামির বিরুদ্ধে সকল দণ্ড বাতিল করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থ পাচারের অভিযোগে আপিল বিভাগ থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

আপডেট সময় ০১:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে অর্থপাচার আইনে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

গত ৪ মার্চ, আপিল শুনানির পর রায়ের জন্য এদিন নির্ধারণ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে, ১০ ডিসেম্বর মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের অনুমতি দিয়ে দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর, মামুন আপিল করার পর এ রায় আসে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুদক রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।

মামলায় বলা হয়, টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এই টাকা সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয় এবং মামুন সিটি ব্যাংক এনএ-তে নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। পরে, এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।

মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেটও ছিলেন। তবে আপিল বিভাগের রায়ে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে দুই আসামির বিরুদ্ধে সকল দণ্ড বাতিল করা হয়েছে।