ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার, স্বাস্থ্যসেবায় নেওয়া হবে নতুন উদ্যোগ: রিজওয়ানা বিশ্ব বাণিজ্য পথের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নতুন কৌশল ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে উত্তেজনা, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন মুখ, শপথ নিচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার ঈদে ৩ নায়কের বক্স অফিসের লড়াই: শাকিব, নিশো ও সিয়ামের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অভিযুক্ত তাহাব্বুর রানা ভারতে প্রত্যর্পণের পথে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি পতেঙ্গা রিং রোডে পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ১২, মামলা দায়েরঃ রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বিশ্ব বাণিজ্য পথের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নতুন কৌশল

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব অর্থনীতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর নিয়ন্ত্রণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তার এই পরিকল্পনা বিশ্বের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য পথের উপর প্রভাব বিস্তারের দিকে নজর দিচ্ছে, যার মধ্যে গ্রীণল্যান্ড, পানামা খাল, সুয়েজ খাল, দক্ষিণ চীন সাগর এবং হরমুজ প্রণালী অন্যতম।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একের পর এক শুল্ক আরোপ এবং ভূ-রাজনৈতিক দখলের চেষ্টা তার অর্থনীতি শক্তিশালী করার নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রধান করিডোরগুলোর নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের আগ্রহ তার আধিপত্য বিস্তারের ইচ্ছাকে আরও দৃঢ় করছে। বিশেষ করে, তিনি এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক করিডোর গঠনের দিকে নজর দিয়েছেন, যেখানে পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, রেলপথ এবং সাবমেরিন ক্যাবলে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এটি ভবিষ্যতে সুয়েজ খালের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন প্রধান পথ হতে পারে। এছাড়া, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য এই রুটের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন ট্রাম্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।

দক্ষিণ চীন সাগরের উপরও ট্রাম্পের প্রভাব বিস্তার করার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রতি বছর ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। এ ছাড়া, কানাডা এবং গ্রীনল্যান্ডের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুরনো, তবে এখন পানামা খালের দিকে মনোযোগ বাড়ানো হয়েছে। ৩৪০ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা এই পথে এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করবে।

রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলের নিকট মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি, হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন স্বার্থের প্রতি গভীর মনোযোগ রয়েছে, যেখানে পৃথিবীজুড়ে ২০ শতাংশ তেল পরিবহন হয়। এটি স্পষ্ট যে, ট্রাম্প তার বাণিজ্য এবং সামরিক কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব বাণিজ্য পথের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের নতুন কৌশল

আপডেট সময় ০৫:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বিশ্ব অর্থনীতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর নিয়ন্ত্রণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তার এই পরিকল্পনা বিশ্বের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য পথের উপর প্রভাব বিস্তারের দিকে নজর দিচ্ছে, যার মধ্যে গ্রীণল্যান্ড, পানামা খাল, সুয়েজ খাল, দক্ষিণ চীন সাগর এবং হরমুজ প্রণালী অন্যতম।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একের পর এক শুল্ক আরোপ এবং ভূ-রাজনৈতিক দখলের চেষ্টা তার অর্থনীতি শক্তিশালী করার নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রধান করিডোরগুলোর নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের আগ্রহ তার আধিপত্য বিস্তারের ইচ্ছাকে আরও দৃঢ় করছে। বিশেষ করে, তিনি এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক করিডোর গঠনের দিকে নজর দিয়েছেন, যেখানে পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, রেলপথ এবং সাবমেরিন ক্যাবলে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এটি ভবিষ্যতে সুয়েজ খালের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন প্রধান পথ হতে পারে। এছাড়া, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য এই রুটের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন ট্রাম্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।

দক্ষিণ চীন সাগরের উপরও ট্রাম্পের প্রভাব বিস্তার করার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রতি বছর ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। এ ছাড়া, কানাডা এবং গ্রীনল্যান্ডের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুরনো, তবে এখন পানামা খালের দিকে মনোযোগ বাড়ানো হয়েছে। ৩৪০ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা এই পথে এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করবে।

রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলের নিকট মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি, হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন স্বার্থের প্রতি গভীর মনোযোগ রয়েছে, যেখানে পৃথিবীজুড়ে ২০ শতাংশ তেল পরিবহন হয়। এটি স্পষ্ট যে, ট্রাম্প তার বাণিজ্য এবং সামরিক কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়।