০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগে সব বাধা কাটল, আপিল বিভাগে জয় পেলেন ৬,৫৩১ প্রার্থী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 110

ছবি সংগৃহীত

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর চাকরিতে যোগদানের আর কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলে গেল।

আজকের রায়ে হাইকোর্টের পূর্বের রায় স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখন নির্ভিগ্নে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলনসহ একাধিক আইনজীবী এবং রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী শুনানি করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ এনে উত্তীর্ণদের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্ট ২০২৪ সালের আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত রায়ের আলোকে নতুন ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দেয়, যা এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়।

আপিল বিভাগের রায়ে সেই বাধা দূর হলো। শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনরায় চালু হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে অবশেষে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন শিক্ষক সংযুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগে সব বাধা কাটল, আপিল বিভাগে জয় পেলেন ৬,৫৩১ প্রার্থী

আপডেট সময় ১০:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর চাকরিতে যোগদানের আর কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলে গেল।

আজকের রায়ে হাইকোর্টের পূর্বের রায় স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখন নির্ভিগ্নে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলনসহ একাধিক আইনজীবী এবং রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী শুনানি করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ এনে উত্তীর্ণদের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্ট ২০২৪ সালের আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত রায়ের আলোকে নতুন ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দেয়, যা এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়।

আপিল বিভাগের রায়ে সেই বাধা দূর হলো। শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনরায় চালু হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে অবশেষে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন শিক্ষক সংযুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।